এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কেন্দ্রের নদী সংযোগ প্রকল্পে বড় বিপদ বাংলার

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলা নদীমাতৃক রাজ্য। কিন্তু তারপরও দক্ষিণবঙ্গের একটা বড় অংশের মানুষ গঙ্গার জলের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া, কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনা জেলার প্রায় ৬ কোটি মানুষ। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের নিত্যদিনের পানীয় জল থেকে ব্যবহারের জল, নদীপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা গঙ্গার ওপর যেমন সরাসরি নির্ভরশীল ঠিক তেমনি গঙ্গার জলের ওপরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের পণ্যপরিবহণ ব্যবস্থাও। অথচ সেই গঙ্গায় জল ক্রমশই কমছে। রাজ্য সরকার যখন বার বার দাবি জানাচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ফরাক্কার জলবন্টন চুক্তির পুনর্মূল্যায়ণ করা হোক, তখন সেই কথায় কান দেওয়া তো দূরের কথা, কেন্দ্র সরকার এখন নদী সংযুক্তি প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে গঙ্গার জল আরও টেনে নেওয়ার ব্যবস্থা করছে। আর তার জেরে ফরাক্কায় গঙ্গার জলপ্রবাহ কমবে। সেক্ষেত্রে সরাসরি ধাক্কা নেমে আসবে দক্ষিণবঙ্গের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ভাগীরথী বা হুগলি নদীর জলপ্রবাহের ওপর। সেখানে জলপ্রবাহ কমলে বিপর্যয়ের মুখে পড়বেন এই ৬ কোটি মানুষ। মোদ্দা কথা কেন্দ্রের নদী সংযুক্তি প্রকল্পের জেরে বাংলা বড় বিপদের মুখে পড়তে চলেছে।

জ্যোতি বসু যখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গার জলবন্টন চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। সেই সময় জ্যোতিবাবু এই চুক্তি নিয়ে কোনও আপত্তি করেননি। কিন্তু পরবর্তীকালে দেখা যায় এই চুক্তির জন্য দক্ষিণবঙ্গে গঙ্গার জলপ্রবাহ উল্লেখ যোগ্যভাবে কমে গিয়েছে। একই সঙ্গে উত্তরভারতে গঙ্গা ও তার উপনদীগুলির ওপরে একের পর এক বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। এর ফলে ফরাক্কায় গঙ্গার জল যতটা আসার কথা কার্যত তার অর্ধেক এসে পৌঁছাছে। সেখান থেকে আবার চুক্তি মোতাবেক জল দিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। ফলে ভাগীরথী বা হুগলির দিকে জলপ্রবাহ ক্রমশ কমছে। সঙ্কট সব থেকে গভীর হয় শুখা মরসুমে। সেই কারনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার কেন্দ্র সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছেন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে গঙ্গা জলবন্টন চুক্তি হয়েছে তার পুনর্মূল্যায়ণ করা হোক। কেননা গঙ্গায় জলপ্রবাহ ক্রমশ কমছে। আর এই জলের ওপরেই নির্ভরশীল রাজ্যের ৬ কোটি মানুষ। তাঁরা ক্রমশ বড় বিপদের মুখে পড়ে যাচ্ছেন। এখন সেই আবেদনে কর্ণপাত করা তো দূরের কথা কেন্দ্র সরকার নদী সংযুক্তি প্রকল্পের মাধ্যমে গঙ্গার জল বুন্দেলখণ্ড ও মধ্যপ্রদেশে টেনে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে। যার অবশ্যম্ভাবী পরিণাম ফরাক্কা বাঁধের অপমৃত্যু ও ভাগীরথী তথা হুগলী নদীর অকাল মৃত্যু। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চাষের জমি লুটের অভিযোগ শেখ শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে

রবিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি, সোমবার ভিজতে পারে কলকাতা

‘উনি কেন এখনও ফর্ম ফিলাপ করেননি?’, নাম না করে শান্তনুকে CAA খোঁচা মমতার

শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জমি হাতানোর অভিযোগ

‘এখন থেকে আমি আর মোদিবাবুর নাম নেব না, বড্ড মিথ্যে কথা বলেন’

বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করেই মৃত্যু মাধ্যমিক উত্তীর্ণ  ছাত্রীর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর