এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বঙ্গ বিজেপিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে পৃথক মঞ্চ বিক্ষুব্ধদের

নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় বলে দিনের শুরুটা দেখলেই বোঝা যায় দিনটা কেমন যাবে। সেটাই এবার বাস্তব হয়ে গেল বঙ্গ বিজেপির ক্ষেত্রে। শনিবার সকালেই বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায় টুইট করে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন, ‘বাংলায় কি বিজেপির মৃত্যু হতে চলেছে?’ সেই প্রশ্নের উত্তর বঙ্গ বিজেপির তরফে কেউ দেননি। তবে দেওয়াল লিখন যারা পড়তে পারেন তাঁরা কিন্তু তথাগতবাবুর এই ভবিষ্যতবাণীকে মোটেও উপেক্ষা করছেন না। কেননা একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে নিত্যদিন যে হারে বিজেপির নেতা, বিধায়ক ও কর্মীরা দলত্যাগ করছেন এবং বিজেপি যেভাবে বাংলায় একের পর এক ভোটে মুখ থুবড়ে পড়ছে তাতে করে খুব শীঘ্রই যে বাংলার এই প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলটি কার্যত ধুয়ে মুছে এ রাজ্য থেকে সাফ হয়ে যেতে বসেছে সেটা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কার্যত সেই সম্ভাবনাকে আরও কিছুটা অবশ্যম্ভাবী ও তরান্বিত করে দিলেন বিজেপিরই বিক্ষুব্ধরা। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে যেভাবে বিক্ষুব্ধরা পৃথক মঞ্চ বাঁধার বার্তা দিয়ে দিল তা কিন্তু আদতে তথাগত রায়ের ‘বঙ্গ বিজেপির মৃত্যু’র ভবিষ্যৎবাণীকেই বাস্তব আকার দিয়ে দিচ্ছে।

শনিবার কলকাতার এক্সাইড মোড়ে পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে বৈঠকে বসেছিলেন বঙ্গ বিজেপির বিক্ষুব্ধরা। উপস্থিত ছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসু, রীতেশ তিওয়ারি, তুষার মুখোপাধ্যায়, দেবাশিস মিত্র, সুব্রত ঠাকুর, অশোক কীর্তনীয়া, মুকুটমণি অধিকারী প্রমুখ। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দলের রাজ্য নেতৃত্বের সামনে নতজানু না হয়ে পৃথক মঞ্চ গড়ে তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাবেন যার মুখ্য উদ্দেশ্য হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত শক্ত করা ও বাংলায় বিজেপিকে শক্তিশালী করে তোলা। সম্ভবত এই মঞ্চের নাম হতে চলেছে ‘শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মঞ্চ’। আর এই ঘটনাই কিন্তু বলে দিচ্ছে বঙ্গ বিজেপি এদিন থেকেই কার্যত আড়াআড়ি ভাবে ভাগ হয়ে গেল। এর জের যে আগামী সব নির্বাচনে পড়তে চলেছে সেটাও ধরে নেওয়াই হচ্ছে। কেননা সেক্ষেত্রে দেখা যাবে প্রতিটি আসনেই বিজেপির দুইজন করে প্রার্থী লড়াই করছেন। একজন অফিসিয়াল বঙ্গ বিজেপির প্রার্থী, অপরজন বিক্ষুব্ধ মঞ্চের প্রার্থী। যার অর্থ বিজেপির প্রাপ্ত ভোট তলানিতে গিয়ে ঠেকবে।

শান্তনুর নেতৃত্বে এদিন বিক্ষুব্ধরা বৈঠকের পরে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যে কোনও একজন দলের সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে চাইছেন নিজের হাতে। আর তার জেরে যারা বিজেপিতে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন, দলকে ২ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট এনে দিয়েছেন তাঁদেরই ৯০ শতাংশকে দলের যাবতীয় কমিটি থেকে ছেঁটে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এদিন শান্তনু ও তাঁর সঙ্গীরা সেই ব্যক্তির নাম নিতে চাননি সংবাদমাধ্যমের সামনে। তবে অনুমান করা হচ্ছে সেই ব্যক্তি বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক(‌সংগঠন)‌ অমিতাভ চক্রবর্তী। কেননা শান্তনুরা জানিয়েছেন, যার বিরুদ্ধে তাঁদের ক্ষোভ তিনি দলের সংগঠনের দায়িত্বে আছেন। আবার অনেকে মনে করছেন সেই ব্যক্তি বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একসময় এই জায়গায় নাম ঘুরছিল শুভেন্দু অধিকারীরও। কিন্তু তিনি বঙ্গ বিজেপির কোনও সাংগঠনিক দায়িত্বে নেই। তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাই মনে করা হচ্ছে শান্তনুদের বিদ্রোহ আদতে সুকান্ত-অমিতাভের বিরুদ্ধে। এদিন শান্তনু নাম না করেই তাঁদের পদত্যাগ ও অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।

তবে ঘটনা হচ্ছে, কিবা সুকান্ত, কিবা অমিতাভ দুইজনই সঙ্ঘের সদস্য। কার্যত সঙ্ঘের পরামর্শেই তাঁদের পদে বসানো হয়েছে। তাই এখন তাঁদের অপসারণের দাবিতে দলে যত বিদ্রোহই হোক না কেন তা যে চট করে মেনে নেওয়া হবে এমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বরঞ্চ ইঙ্গিত মিলেছে শান্তনুর বিরুদ্ধেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর এখানেই এসে গিয়েছে মতুয়া ভোটের বিড়াম্বনা। অনেকেই মনে করছেন মতুয়া ভোটের কথা ভেবে শান্তনুর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নাও নিতে পারে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সে ক্ষেত্রে বাংলায় বিজেপি শুধু যে বিভাজিত হয়ে যাবে তাই নয়, দ্রুত অপমৃত্যুর দিকেও এগিয়ে যাবে। তথাগতের ভবিষ্যৎবাণীও ফলে যাবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চাষের জমি লুটের অভিযোগ শেখ শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে

রবিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি, সোমবার ভিজতে পারে কলকাতা

‘উনি কেন এখনও ফর্ম ফিলাপ করেননি?’, নাম না করে শান্তনুকে CAA খোঁচা মমতার

শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জমি হাতানোর অভিযোগ

‘এখন থেকে আমি আর মোদিবাবুর নাম নেব না, বড্ড মিথ্যে কথা বলেন’

বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করেই মৃত্যু মাধ্যমিক উত্তীর্ণ  ছাত্রীর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর