এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

লকেটকেই এবার কোনঠাসা করার পালা শুরু বঙ্গ বিজেপিতে

নিজস্ব প্রতিনিধি: নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কিছু বললেই খাঁড়া নেমে আসে। সত্যি কথা তুলে ধরা যায় না। খালি শাসক দলের সন্ত্রাসকে তুলে ধরে নিজেদের দুর্বলতাকে ঢাকা যায় না। সেখানেই প্রয়োজন আত্মসমীক্ষার – এই বার্তাই বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে দিয়েছেন বিজেপির অন্যতম সাধারন সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়(Locket Chatterjee)। একই সঙ্গে শনিবার দলের চিন্তন বৈঠকে তিনি সাফ জানিয়েছেন দলের কোন কোন সিদ্ধান্তে ভরাডুবি হয়ে চলেছে একের পর এক নির্বাচনে। লকেটের সেই সব বক্তব্য আর রুদ্ধদ্বারে আবদ্ধ থাকেনি। মিডিয়ার মারফত তা ছড়িয়েছে বাংলাজুড়ে। তার জেরে বিজেপির নীচুতলার কর্মীরা রীতিমত খুশি। তাঁদের একাংশ তো এখন লকেটকেই বঙ্গ বিজেপির সভাপতি হিসাবে দেখতে চাইছে। তবে লকেটের বক্তব্যে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছে বঙ্গ(Bengal) বিজেপি(BJP) নেতৃত্ব। এবার তাই শুরু হয়ে গেল বঙ্গ বিজেপিতে লকেটকে কোনঠাসা করার পালা। তার অন্যতম কারণ, লকেটের দেখাদেখি আরও অনেকে রাজ্য নেতৃত্বের সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। কেউ প্রকাশ্যে কেউ বা সোশ্যাল মিডিয়াতে।  

লকেটের বক্তব্যের জেরে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব যে অস্বস্তিতে পড়েছে সেটা এদিন বেশ বোঝা গিয়েছে দিলীপ ঘোষের(Dilip Ghosh) কথায়। রবিবার রাজ্যের এক প্রথম শ্রেনীর সংবাদমাধ্যমে দিলীপ লকেটের বক্তব্য প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘আত্মবিশ্লেষণ কেউ চাইতেই পারেন। আর সেটা করাও দরকার। বিজেপি সব সময়ে আত্মবিশ্লেষণ করে। তবে এই শব্দটার মধ্যেই ‘আত্ম’ শব্দটা রয়েছে। অর্থাৎ নিজের থেকে সমালোচনা শুরু করতে হবে। কিন্তু যাঁরা ময়দানেই ছিলেন না তাঁরা কী করে অন্যের কাছে আত্মবিশ্লেষণের দাবি তোলেন? হুগলি জেলায় দলের প্রবীণ নেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্য তৃণমূলের হাতে মার খেয়েছেন। অনেক কর্মী ঘর ছাড়া, সর্বত্র সন্ত্রাস চলছে। এ সব যখন হয়েছে তখন কর্মীদের পাশে কে ছিলেন?’ ঘটনা হচ্ছে উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনে সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ায় বেশ কয়েক মাস রাজ্যের বাইরেই ছিলেন লকেট। বাজটে অধিবেশনের সময়ে দিল্লি গেলেও বাংলায় সে ভাবে তাঁকে দেখা যায়নি।

বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে রাজ্য বিজেপির নতুন কমিটি ঘোষণা হয়। তাতে জায়গা পান লকেট। কিন্তু দায়িত্ব পেলেও লকেট রাজ্য স্তরের কোনও দলীয় বৈঠকে অংশ নেননি। উত্তরাখণ্ডের ভোটপর্ব মেটার পরে সময় থাকলেও নিজের লোকসভা এলাকায় পুরভোটের প্রচারে অংশ নেননি। কিন্তু তিনি উত্তরাখণ্ডে থাকার সময়েই বিদ্রোহী নেতা তথা সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে ও পরে দিল্লিতে দল থেকে বরখাস্ত হওয়া নেতা রীতেশ তিওয়ারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যার অর্থ দলের বিদ্রোহীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন তিনি এবং এখন কার্যত তাঁদের হয়েই দলীয়নেতৃত্বকে আক্রমণ শানছেন যা দলবিরোধী কার্যকলাপ হিসাবেই চিহ্নিত হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar) জানিয়েছেন, ‘দলীয় বৈঠকে লকেট চট্টোপাধ্যায় কী বলেছেন তার সবটাই লিপিবদ্ধ রয়েছে। গোটাটাই দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। দলীয় বৈঠকের কথা তো বাইরে বলা যায় না। উনি কী বলেছেন সেটাই তো আমি বাইরে বলতে পারি না। তবে যা যা বলেছেন তার সবটাই লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। ’ সুকান্ত যেটা বলেননি সেটা অবশ্য বঙ্গ বিজেপির সূত্রেই জানা গিয়েছে। লকেটের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ পাঠানো হতে পারে জে পি নাড্ডার কাছে।

লকেট এদিন অবশ্য সব শুনে জানিয়েছেন, ‘দিলীপদার যদি কিছু বলার থাকতো তাহলে কালকেই আমাকে সেটা বলতে পারতেন। আর আমি যা বলেছি তা মিডিয়ার সামনে বলিনি। বলেছি দলের বৈঠকে। মিডিয়া সেটা নিয়ে পাবলিসিটি করছে। আমি দলীয় বৈঠকের ভিতরে কী বলেছি সেটা নিয়ে যাঁরা প্রকাশ্যে সমালোচনা করছেন তাঁরাই আসলে শৃঙ্খলা মানছেন না। আমি তো বাইরে কিছু বলিনি। দলের ভিতরে বলেছি। এখন যা প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও দলের ভিতরে জবাব দেব। আর দিলীপদা তো সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তিনি জানেন, আমি কখন, কোথায়, কী দায়িত্বে ছিলাম।’ লকেটের এই বক্তব্যের পরে এখন বঙ্গ বিজেপিতে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে লকেট যে নেতৃত্বের দিকে আঙুল তুলেছেন তা কী করে সংবাদমাধ্যমে জানাজানি হয়ে গেল!  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দুর্গাপুর এনআইটি ‘র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রের আত্মহত্যা, গাফিলতির দায় মেনে পদত্যাগ ডিরেক্টরের

সীমান্তবর্তী শহর বসিরহাটে নির্বাচনের আগে জোর তল্লাশি পুলিশের

সন্দেশখালিতে সিবিআই রাতের অন্ধকারে বিদেশি পিস্তল লুকিয়ে রেখে এসেছে: অখিল গিরি

বিরোধীরা বদ্ধ পাগল হয়ে গেছে দাবি প্রসূনের, তাপ প্রবাহে সুস্থ থাকার টোটকা রথীনের

তীব্র দাবদাহ থেকে পশু পাখিদের বাঁচাতে শান্তিপুরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বিশেষ উদ্যোগ

তাপপ্রবাহে স্বস্তি পেতে ভাগীরথীতে বন্ধুদের সঙ্গে জলে নেমে তলিয়ে গেল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর