নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) প্রাক্তন রাজ্যপাল(Governor) ছিলেন তাঁদের ঘরের লোক। বাংলায় এসে তাঁর কাজই হয়ে দাঁড়িয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার ও তাঁর দলকে নাস্তানাবুদ করা। সেই সঙ্গে যাবতীয় সাংবিধানিক রীতিনীতি লঙ্ঘণ করে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলা। রাজভবনকে কার্যত বিজেপির(BJP) পার্টি অফিসে পরিণত করেছিলেন তিনি মানে জগদীপ ধনখড়(Jagdeep Dhankar)। তাই তিনি বিজেপির কাছে অবশ্যই ‘গুডবয়’। কিন্তু এই পথে হাঁটা দেননি বর্তমান রাজ্যপাল লা গণেশন(La Ganesan)। সংবিধানকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই কাজ করে চলেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে রাজ্যপাল পদ ও রাজভবনকে কাজ্বে লাগাতে চাওয়া বঙ্গ বিজেপির নেতারা বর্তমান রাজ্যপালের টিকির দেখাও পাচ্ছেন না বলে এখন প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিচ্ছেন, রাজভবনে নাকি নতুন বাসিন্দা আসছেন। কে আসছেন সেটাও আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar) এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি নতুন রাজ্যপাল পেতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ! নয়া রাজ্যপাল, জগদীপ ধনখড়ের যোগ্য উত্তরসূরী হবেন বলেই মনে করছেন তিনি।
আরও পড়ুন রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে মন্তব্য, মন্ত্রী অখিলকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে লা গণেশন সরলে তাঁর জায়গায় আসবেন কে? দিল্লির নর্থ ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, দৌড়ে এগিয়ে প্রাক্তন সিবিআই কর্তা রাকেশ আস্তানা(Rakesh Astana)। অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস এই আধিকারিক ১৯৮৪-র গুজরাট ক্যাডারের অফিসার। সিবিআই-এর স্পেশাল ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। পরে দিল্লির পুলিশ কমিশনারের দায়িত্বে থাকাকালীন অবসর নেন তিনি। লা গণেশনের জায়গায় তাঁকেই এ রাজ্যের রাজ্যপাল পদে আনা হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। আর আনা হচ্ছে কেন? না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ও তাঁর দলকে টাইট দিতে। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে লা গণেশনকে নিয়ে তা৬রা ক্ষুব্ধ। কেননা তিনি বঙ্গ বিজেপি নেতাদের বিন্দুমাত্র পাত্তা দিচ্ছেন না। তাঁদের সঙ্গে দেখা করছেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিন্দা করছেন না। তাঁর সরকার ও দলকে অপদস্থ করছেন না। সব থেকে বড় কথা নিত্যদিন টুইট করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন না। আরও বলা ভাল তিনি বিজেপির গুডবয় হতে চাইছেন না। অগ্যতা তাঁকে সরাও। আস্তানাকে আনো।