এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাংলাজুড়ে বামেদের ডাকা বন্‌ধে মিশ্র প্রভাব

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাম শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকে দেশজুড়ে ২ দিনের সাধারণ ধর্মঘটের(Strike) কিছুটা হলেও প্রভাব পড়ল বাংলার(Bengal) জেলাগুলিতে। তবে সেই প্রভাব সীমাবদ্ধ থেকেছে পরিবহণ ক্ষেত্রে। ধর্মঘটীরা জেলায় জেলায় রাস্তা অবরোধ করার পাশাপাশি  বাস ও ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রেও বাধার সৃষ্টি করে। উত্তরবঙ্গ(North Bengal) থেকে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে একাধিক জেলায় এই কর্মসূচী পালন করছেন বামেরা। কেন্দ্র সরকারের বিলগ্নীকরণ সংক্রান্ত কিছু নীতি যাতে অবিলম্বে পরিবর্তন করা হয়, সেই দাবি জানিয়ে আজকের এই বন্‌ধ ট্রেড ইউনিয়নগুলির। কেন্দ্র সরকার বিরোধী এই বন্‌ধকে অবশ্য সমর্থন করছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পুলিশকে তাই এদিন সকাল থেকেই জেলায় জেলায় বেশ সক্রিয় অবস্থায় দেখা যাচ্ছে।

কলকাতার পাশেই থাকা হাওড়া(Howrah) জেলায় এদিন ডোমজুড় বাজারের কাছে হাওড়া-আমতা রোড অবরোধ করে ধর্মঘটীরা। এর ফলে উদয়নারায়ণপুর থেকে ধর্মতলাগামী সরকারি বাস আটকে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেই বিক্ষোভ সরিয়ে দেয়। একই সঙ্গে জেলার উলুবেড়িয়া মহকুমার কুলগাছিয়ায় ট্রেন অবরোধ করেন বন্‌ধ সমর্থকারীরা। আটকানো হয় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের লোকাল ট্রেন। যদিও রেলের দাবি, প্রথম দিনের বন্‌ধে সে ভাবে প্রভাব পড়েনি ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে। কয়েকটি জায়গায় রেল অবরোধ হলেও ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিকই আছে। কুলগাছিয়ার পাশাপাশি বন্‌ধ সমর্থনকারীরা ট্রেন অবরোধ করেন হাওড়া- আমতা শাখাতেও। সেখানে হাওড়ামুখী লোকাল ট্রেন আটকানো হয়। ডোমজুড় রোড স্টেশনে আটকানো হয় ডাউন আমতা হাওড়া লোকাল। যদিও ঘটনাস্থলে গিয়ে আরপিএফ ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করে ধর্মঘটীদের সরিয়ে দিয়ে। ডোমজুড় থানা এলাকাযতেও জোর করে সরকারি বাস আটকানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু পুলিশের সক্রিয়তায় সেই পরিকল্পনা বাঞ্চাল হয়ে যায়। এদিন হাওড়া স্টেশন চত্বর যেমন স্বাভাবিক ছিল তেমনি হাওড়া ব্রিজেও যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

উত্তরবঙ্গে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায় বাম সমর্থকেরা জোর করে বাস, ট্রেন, অটো, ট্রেকার আটকানোর চেষ্টা করে। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে করা হয় অবরোধ। জোর করে দোকানবাজার বন্ধ করারও চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় তা বেশিক্ষণ চালাতে পারেননি বন্‌ধ সমর্থকেরা। কোচবিহার শহরে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বাস স্ট্যান্ডের সামনে বামপন্থীরা পিকেটিং শুরু করায় পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে। রাস্তায় টায়ারও জ্বালানো হয়। পরে পুলিশ গিয়ে নিভিয়ে দেয়। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে বন্‌ধ সমর্থনকারীদের মিছিল এদিন সকালেই আটকে দেয় পুলিশ। রায়গঞ্জের ঘড়িমোড়ে বামেদের সেই মিছিল আটকায় পুলিশ। পাশাপাশি, আইএনটিটিইউসি সমর্থকদেরও একটি মিছিল চলে আসে ঘটনাস্থলে। দুই পরস্পর বিরোধী মিছিল থেকে চলতে থাকে স্লোগান। পুলিশ দু’টি মিছিলকে ফিরে যেতে বাধ্য করে। উত্তেজনা থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। মালদাতেও বেশ কিছু জায়গায় এদিন অবরোধ করে বামেরা।

বামপন্থী শ্রমিক ও কৃষক সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটে জাতীয় সড়কের অবরোধের ঘটনা ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বামনপুকুর এলাকায়। সেখানে জাতীয় সড়কে আটকে পড়ে শতাধিক গাড়ি। যদিও জরুরি পরিষেবার গাড়িগুলিকে ছেড়ে দেন ধর্মঘটীরা। দাসপুরেও ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন সিপিএম কর্মীরা। সেখানেও আটকে পড়ে বহু গাড়ি। যদিও দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় দাসপুর থানার পুলিশ ও তাঁদের প্রচেষ্টায় রাস্তা দিয়ে ফের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বীরভূম জেলার রামপুরহাট শহরেও এদিন মিছিল করেন বাম কর্মী ও সমর্থকরা। বনধের প্রভাব পড়েছে হুগলি(Hooghly) জেলার শিল্পাঞ্চল এলাকাতেও। জেলার সদর শহর চুঁচুড়াতে এদিন বাস টার্মিনাল থেকে কোনও বাস বের হয়নি। সকালে ধর্মঘটের সমর্থনে সেখানে পিকেটিং হয়। বাস-ট্রেকার রাস্তায় নামেনি। তবে একটি-দু’টি করে চলছে অটো-টোটো।

পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল মহকুমার রানিগঞ্জে এদিন পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় ধর্মঘটীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রানীগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। তাঁরা ধর্মঘটীদের সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। দুর্গাপুরেও এদিন  পুলিশ ও বন্‌ধ সমর্থনকারীদের মধ্যে ধ্বস্তাধস্তির ছবি সামনে এসেছে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে ধর্মঘটীদের সঙ্গে এদিন তুমুল বচসা বাঁধে পুলিশের সঙ্গে। এর জেরেই সাময়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। এদিন, সকালে স্থানীয় বনধ সমর্থনকারীরা মিছিল করে বিষ্ণুপুর রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে আসেন। সেখানে একটি সরকারি বাস বেরোনোর চেষ্টা করলে ধর্মঘটীরা বাসটির পথ আটকায়। পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল বচসা বাধে। এরমধ্যেই বনধ সমর্থনকারীদের একাংশ রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এই বিক্ষোভের জেরে বিষ্ণুপুর রসিকগঞ্জ এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ ধরে আটকে থাকে সরকারি বাস। পরে পুলিশ ধর্মঘটীদের সরিয়ে দিলে সরকারি বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়। বাঁকুড়ার সারেঙ্গাতেও  অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয় এদিন। সেই সময় রাস্তায় শুয়ে প্রতিবাদ করেন বনধ সমর্থনকারীরা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দুর্গাপুর এনআইটি ‘র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রের আত্মহত্যা, গাফিলতির দায় মেনে পদত্যাগ ডিরেক্টরের

সীমান্তবর্তী শহর বসিরহাটে নির্বাচনের আগে জোর তল্লাশি পুলিশের

সন্দেশখালিতে সিবিআই রাতের অন্ধকারে বিদেশি পিস্তল লুকিয়ে রেখে এসেছে: অখিল গিরি

বিরোধীরা বদ্ধ পাগল হয়ে গেছে দাবি প্রসূনের, তাপ প্রবাহে সুস্থ থাকার টোটকা রথীনের

তীব্র দাবদাহ থেকে পশু পাখিদের বাঁচাতে শান্তিপুরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বিশেষ উদ্যোগ

তাপপ্রবাহে স্বস্তি পেতে ভাগীরথীতে বন্ধুদের সঙ্গে জলে নেমে তলিয়ে গেল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর