নিজস্ব প্রতিনিধি: ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আমূল পরিবর্তন বাংলার আবহাওয়ায়(Weather)। বুধ সকালে কলকাতার(Kolkata) ঘুম ভেঙেছিল হালকা কুয়াশা আর মেঘের মধ্যে দিয়ে। বৃহস্পতিবার সকালে কিন্তু সেই কলকাতায় ঝলমলে রোদ। আর এই দুই ছবির মাঝে হঠাৎ করেই হানা কালবৈশাখী(Kalbaishakhi) ঝড়ের। যেন বাংলার(Bengal) বুকে ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদল করে চলেছে প্রকৃতি। যদিও আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং আরও বাড়বে তাপমাত্রার পারদ। কিন্তু বুধ বিকালে মালদার(Malda) বুকে আচমকা কালবৈশাখী এসে হানা দেওয়ার পর থেকেই বাংলার আমজনতা আশায় বুক বাঁধছে এবার যদি তাঁদের এলাকাতেও দেখা মেলে কালবৈশাখীর।
আবহাওয়া দফৎরের দাবি ছিল এপ্রিল মাসের প্রথম দিকের আগে কলকাতা সহ আশেপাশের জেলাগুলিতে কালবৈশাখীর দেখা মিলবে না। কিন্তু মালদার বুকে বুধ বিকালে কালবৈশাখীর হানা সেই হিসাব গুলিয়ে দিয়েছে। যদিও বৃহস্পতিবার সকালেও আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে এখনই ভ্যাপসা গরমের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। বরং তাপমাত্রার সঙ্গে সঙ্গে অস্বস্তি বাড়াবে আপেক্ষিক আর্দ্রতা। কলকাতাতে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই এখনই। তবে এদিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গে। মালদায় কালবৈশাখীর দেখা মিললেও এখনই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। জেলাগুলিতে এখন বাড়বে তাপমাত্রা। বরঞ্চ এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই কলকাতার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন আবহাওয়াবিদদের একাংশ।
গতকাল মালদাতে আচমকাই ঝড় হয়। একাধিক বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে এই ঝড়ে। মালদার আশেপাশে থাকা হব্বিবপুর, বুলবুলচন্ডী এবং পুরনো মালদার একাংশে এই ঝড় হয়। কিছু কিছু জায়গায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। স্থানীয় ভাবে বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চারেই এই ঝড়ের উদ্ভব বলে জানা গিয়েছে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, যদি মালদায় কালবৈশাখী হতে পারে তাহলে তা বাংলার অনান্য জেলায় কেন হবে না? কার্যত এই প্রশ্ন তুলেই এখন চাতক পাখির মতো ঝড়বৃষ্টির আশায় প্রহর গুণছে বাংলা।