নিজস্ব প্রতিনিধি: পৌষ সংক্রান্তিতে শীতের দেখা না মিললেও মাঘের শুরুতে দেখা মিলছে সেই শীতের। কার্যত সারা বাংলাজুড়েই পারা পতন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। কলকাতা লাগোয়া দমদম ও সল্টলেকের মতো এলাকাগুলিতে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। পারা নেমেছে হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর সহ রাঢ় বঙ্গের একটা বড় এলাকাতেও। উপকূলবর্তী এলাকাতেও পারা পতন বেশ ভালই মালুম হচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শীতের এই আমেজ মিলবে আরও দিন দুই। কিন্তু তারপরেই শুরু হবে বৃষ্টি, কমবে শীত, চড়বে পারা। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার পাশাপাশি নিম্নচাপ অক্ষরেখার হাত ধরে সেই বৃষ্টি ঝরবে।
মঙ্গল সকালে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতার পাশাপাশি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমানের মতো জেলাগুলিতেও পারা পতন বেশ ভালই ঘটেছে। সেখানে পারা নেমে গিয়েছে ১০ ডিগ্রির নীচে। উত্তরের ছবিটাও আলাদা কিছু নয়। সেখানেও এখন দাপট দেখাচ্ছে শীত। শিলিগুড়ির মতো শহরে এদিন ভোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ ডিগ্রি। আলিপুর আবহাওয়া অফিস এদিন জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে পারা আরও নামবে। একই সঙ্গে রাজ্যজুড়েই সকালের দিকে দাপট দেখাবে কুয়াশা। বৃহস্পতিবার থেকে কিন্তু এই শীত আমেজে বদল আসবে। কার্যত বুধবার থেকেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার হাত ধরে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে। পরের দিন ওই দুই জেলা ছাড়াও কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি ঝরবে। ২১ তারিখে উত্তরবঙ্গের সব জায়গাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও। উপকূলের কাছাকাছি থাকা দুই মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায় বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হতে পারে।
তবে ২১ জানুয়ারির পর থেকে বাংলায় ফের তাপমাত্রা কমতে পারে বলেই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে ১৯ তারিখ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টি ঝরলেও কোথাও ভারী বৃষ্টি হবে না। কিন্তু মেঘ থাকায় দিনের বেলায় জোলো ঠাণ্ডা লাগলেও রাতে গরম লাগবে, পারাও চড়বে। তবে ২১ তারিখের পর মেঘ কেটে যাবে। আবারও ঝলমল করে রোদ উঠবে, ঠাণ্ডাও ফের জাঁকিয়ে ফিরবে বাংলা জুড়ে। তবে এই বৃষ্টির জের চট করে কাটবে না। একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জন্য কার্যত মাঘ মাস জুড়েই এই ঠাণ্ডা আর বৃষ্টির যুগলবন্দী চলবে। তার জেরে বাংলায় মাঘ মাসে যে কড়া ঠাণ্ডা মেলে তা এবারে দেখা যাবে না। অর্থাৎ শীতের আমেজ মিললেও মিলবে না হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা।