নিজস্ব প্রতিনিধি: সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় গুজরাতের মোরবিতে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজদের উদ্দেশে তল্লাশি চালানো হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। রবিবার এই সেতুতে বিপর্যয়ের জেরে মৃত্যু হয়েছে এক তরতাজা বাঙালি যুবকের। এদিন বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। ঘুরতে গিয়েই আনন্দ বদলে গেল মৃত্যুতে।
জানা গিয়েছে, মৃত বাঙালি যুবকের নাম হাবিবুল শেখ। আদতে পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী দু’নম্বর ব্লকের মুকসিমপাড়া পঞ্চায়েত কেশববাটি এলাকার বাসিন্দা তিনি। কর্মসূত্রে গুজরাতে থাকতেন। গুজরাতে সোনার কারিগর হিসাবে কাজ করতেন হাবিবুল। সেখানে তার কাকাও কাজ করতেন। কাকার কাছেই মাস দশেক আগে কাজ করতে গিয়েছিলেন ওই যুবক। রবিবার তার কাজে ছুটি ছিল, সেই ছুটি উপভোগ করতে মাচ্চছু নদীতে ঝুলন্ত সেতুতে ঘুরতে গিয়েছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে। হাবিবুল-সহ আরও বহু মানুষ যখন ব্রিজের উপর ছিলেন সেই সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সেতুটি আচমকা ভেঙে পড়ে। নদীর গভীরে তলিয়ে যান বহু মানুষ। সেতুর কেবল ও ভাঙা অংশ ধরে কোনওরকমে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন বিপর্যয়ের কবলে পড়া অনেকে। এরপর উদ্ধার কাজে নামে স্থানীয় মানুষজন, সেনা, আধা সেনা ও এনডিআরএফ টিম। বেশ কিছুক্ষণ পর হাবিবুলের দেহ উদ্ধার হয়। হাবিবুলের কাকা দেহ শনাক্ত করার পর পূর্ব বর্ধমানের বাড়িতে ফোন করে মৃত্যু সংবাদ দেন। মুহূর্তের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে পূর্বস্থলীর মুকসিমপাড়ার বাড়িতে।
হাবিবুল শেখের বাবা বাবা মহিবুল শেখ জানান, ছেলে সোনার কাজের জন্য গুজরাতে গিয়েছিল। সেখানেই কাকার কাছে থাকত। রবিবার বন্ধুদের সঙ্গে কেবল ব্রিজ দেখতে গিয়েছিল। তারপর জানতে পারলাম ও আর নেই। হঠাৎ নেই হয়ে যাওয়া ছেলের শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন তারা। ভিন রাজ্যে কাজের জন্য গিয়ে যে এমন পরিণতি হবে তা কল্পনাও করতে পারছেন না কেউ। আপাতত গ্রামে কখন হাবিবুলের দেহ ফিরবে সেই অপেক্ষায় রয়েছেন প্রতিবেশীরা।