নিজস্ব প্রতিনিধি: দল ছাড়লেন বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) জেলা সহ-সভাপতি বিপ্লব ওঝা (Biplab Ojha)। মঙ্গলবার তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেন বীরভূমের এই নেতা।
তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া নিয়ে এদিন বিপ্লব ওঝা বলেন, ‘আমি তৃণমূলের কংগ্রেসের সঙ্গে সমস্ত সংস্পর্শ ত্যাগ করছি। তার পিছনে কারণ রয়েছে।’ কিন্তু কেন দলত্যাগ? তার জবাবে বিপ্লব ওঝা জানান, তৃণমূল কংগ্রেসে বিগত এক বছর ধরে কোনও গুরুত্ব পাচ্ছেন না তিনি। তাঁর অভিযোগ, কোনও মিটিং-মিছিলে তাঁকে ডাকা হয় না। ‘দলের কাছে আমি বোঝা হয়ে গিয়েছে বলে মনে হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেন বীরভূমের এই নেতা।
কে এই বিপ্লব ওঝা? কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছিলেন বিপ্লব ওঝা। একদা বীরভূম জেলা কংগ্রেসের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি ছিলেন তিনি। এরপর ২০০৭ সালে নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বিপ্লব। ২০০৯ সালে বীরভূম লোকসভায কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে শতাব্দী রায় নির্বাচনে দাঁড়িয়ে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর সমস্ত কাউন্সিলর নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল যোগদান করেন বিপ্লব ওঝা। পরে নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান হন তিনি। এরপর নলহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের তরফে বিপ্লবকে প্রার্থী করা হয়। কিন্তু সে বারে পরাজিত হন। পরবর্তীতে তৃণমূলের টিকিটে জেলা পরিষদের সদস্য হলেও বছরখানেক ধরে তাঁকে দলে ব্রাত্য করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে বীরভূমের জেলা স্তরের নেতার দল ছাড়ার পর রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। তিনি বিজেপিতে যেতে পারেন বলেও জল্পনা তৈরি হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার নলহাটিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা রয়েছে। ফলে সেই সভায় যোগ দিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান কি না বিপ্লব, সে দিকেও নজর রাখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।