নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বৃহস্পতিবার কৌশিকী অমাবস্যা। সেই উপলক্ষ্যে সাজো সাজো রব তারাপীঠে। মোতায়েন করা হয়েছে ১ হাজার পুলিশকর্মী ও ১৭০০ সিভিক ভলেন্টিয়ার। ড্রোন, পর্যাপ্ত পরিমাণে সিসিটিভি, ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরেই রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, মহকুমা আধিকারিক সহ অন্যান্যরা তারাপীঠে মন্দির সংলগ্ন যাওয়ার রাস্তা পরিদর্শন করেন। বুধবার দুপুর ২টো থেকে তারাপীঠে চারচাকার গাড়ি ঢোকানো যাবেনা। করোনার পরে কোন বিধিনিষেধ ছাড়াই এবার কৌশিকী অমাবস্যার পুজো। ফলে এবার জনসমাগম বাড়তে পারে বলেই ধারণা।
তারাপীঠে গিয়ে নাকি কেউ খালি হাতে ফেরেনা। নিত্যই মন্দিরে ভিড় জমে পুণ্যার্থীদের। মঙ্গলবার ও শনিবার ও বিশেষ দিনগুলিতে বিশেষ পুজো হয়ে থাকে। কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে লক্ষ লক্ষ ভক্তদের সমাগম হবে। তাই আগেভাগেই প্রস্তুত প্রশাসন। ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর সারারাত মন্দির খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমগ্র তারাপীঠ সাজিয়ে তোলা হয়েছে বিশেষ আলোর রোশনাইতে।
করোনাকালীন অনলাইনে পুজো দিয়ে প্রতারিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এখনও সেই ঘটনা ব্যতিক্রম নয়। তারাপীঠের তরফে অনলাইনে কোন পুজোর ব্যবস্থা নেই বলেই জানিয়েছেন তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়।
দশমহাবিদ্যার অন্যতম মহাবিদ্যাশক্তি হল আদ্যাশক্তি। সেই আদ্যাশক্তির আরাধনা করেন যারা, তাঁদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কৌশিকী অমাবস্যা। ভাদ্রমাসের এই তিথিতে তন্ত্রমতে ও শাস্ত্রের রীতি মেনেই কালীপুজো করা হয়ে থাকে। এই অমাবস্যা মেনে চললে জীবনে অনেক সমস্যা দূর হয়ে যায় বলে কথিত রয়েছে।