নিজস্ব প্রতিনিধি: যতটা টক্কর দেওয়া যাবে ভাবা হয়েছিল ততটা টক্কর দেওয়া যায়নি। তাই ফল খুব ভাল হওয়ার আশা দেখছেন না পদ্ম শিবিরের নেতারা। ছবিটা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের(Purba Midnapur)। বিজেপির নেতাদের আশা ছিল এবার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদ তাঁরা দখল করবেন। কিন্তু এখন তাঁদের দাবি, জেলা পরিষদে তাঁরা প্রথমবারের জন্য খাতা খুললেও ক্ষমতা দখলের ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারবেন না। কেননা তাঁরা যতটা ভাল ফল আশা করছিলেন জেলার সেই সব এলাকা থেকে যেখানে যেখানে একুশের ভোটে বিজেপি জিতেছিল, সেই সব এলাকায় শাসকের চোখে চোখ রেখে তাঁরা সেভাবে টক্কর দিতে পারেননি। ভোটের হাওয়াও সেভাবে জেলায় তাঁদের দিকে ছিল না। যারা একুশেও পদ্মে ভোট দিয়েছিলেন তাঁদের অনেকেই এবার জোড়াফুলে ছাপ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন বাম ভোট আসেনি রামের ঝুলিতে, লোকসভা নিয়ে আশঙ্কায় পদ্মশিবির
পূর্ব মেদিনীপুরে ব্লকের সংখ্যা ২৫টি। পঞ্চায়েত সমিতিও সমসংখ্যক। জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা ৭০। জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা ২২৩টি। বিজেপির নেতাদের প্রাথমিক ভাবে আশা ছিল এবারে তাঁরা অন্তত ১৫টি ব্লকে তৃণমূলকে কঠিন লড়াইয়ের মুখে ফেলে দেবেন। এই ১২টি ব্লক হল কাঁথি-১, কাঁথি-২, কাঁথি-৩, নন্দীগ্রাম-১, নন্দীগ্রাম-২, খেজুরি-১, খেজুরি-২, ময়না, ভগবানপুর-১, ভগবানপুর-২, মহিষাদল, তমলুক, নন্দকুমার, সুতাহাটা ও হলদিয়া। কিন্তু ভোটের দিন শেষে দেখা গিয়েছে, ময়না, খেজুরি-১, খেজুরি-২, নন্দীগ্রাম-১, নন্দীগ্রাম-১, সুতাহাটা ও হলদিয়া ব্যতীত আর সেভাবে তৃণমূলের(TMC) সঙ্গে লড়াই করে উঠতেই পারেনি বিজেপি(BJP)। এই ৭টি ব্লকে জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা ১৬। তাই জেলা পরিষদে এবার খাতা খোলার সম্ভাবনা থাকলেও ক্ষমতা দখল যে সম্ভব নয়, কার্যত সেটা পদ্ম শিবিরের নেতারা বেশ বুঝে গিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁরা এটাও ধরে নিয়েছেন যে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে জেলার দুই কেন্দ্রেই জয় কার্যত অসম্ভব, তা সে অধিকারী পরিবারের সদস্যরাই টিকিট পান না কেন।