এই মুহূর্তে

মাধ্যমিকে চারবার ফেল করেও প্রাথমিক শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিনিধি: শিক্ষক পদে নিয়োগ দুর্নীতির ছায়া এবারে রাজ্যের সমতল ছেড়ে পাহাড়েও ছাপ ফেলে দিল। আর তার জেরে রাতারাতি পাহাড়ের রাজনীতিতে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিজেপির(BJP) তরফে এক সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করা হয়েছে, পাহাড়ে জিটিএ’র মাধ্যমে স্কুল শিক্ষককের পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে। প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের ১২১টি পদে, জুনিয়ার হাই স্কুলে ৩১৩টি পদে এবং হাইস্কুলের শিক্ষক পদে ৫৯টি বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। পাহাড়ে শিক্ষা দফতর জিটিএ’র অধীনে রয়েছে। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ বা স্কুল সার্ভিস কমিশন এখনও গঠিত হয়নি। এই সুযোগ কাজে লাগিয়েই শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছে। মাধ্যমিকে চারবার ফেল করেও অনেকেই সেখানে নানা স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষক বনে গিয়েছেন। এমনই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন পাহাড়ে কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাসদ শর্মা(Bishnu Prasad Sharma)। আর সেই অভিযোগের জেরেই পাহাড়ের রাজনীতিতে এখন জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে এক সাংবাদিক বৈঠক করে এই অভিযোগ তুলেছেন বিষ্ণুপ্রসাদ। তাঁর অভিযোগ মূলত ২জনের দিকে। এরা হলেন গুরুং উত্তর জমানার পাহাড়ের অন্যতম দুই প্রভাবশালী নেতা বিনয় তামাং(Binay Tamang) ও অনীত থাপা(Anit Thapa)। বিষ্ণু এদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন। তাঁর দাবি,  ‘এনসিটিই অনুযায়ী টেটে বসতে হলে স্নাতক স্তরে পঞ্চাশ শতাংশ নম্বর থাকার পাশাপাশি ট্রেনিং থাকা বাধ্যতামূলক। প্রথমে এদের স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে নিয়োগ করা হয়। পরে তাঁদের স্থায়ী করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। ডিস্ট্রিক স্কুলবোর্ডকে সামনে রেখে স্বজনপোষণ করা হয়েছে। আর তার হাত ধরে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেন হয়েছে। মেধাবীরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন আর নেতাদের অনুগামীরা চাকরি পেয়েছেন। রাজনৈতিক নেতাদের সুপারিশে চাকরি দেওয়া হয়েছে। অনীত থাপা ও বিনয় তামাংরা সেই সুপারিশ করেছেন। অনেকেই এমন আছেন, যাঁরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে বারংবার ফেল করেও ঘুরপথে এভাবে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।’

ঘটনা হচ্ছে এই অভিযোগ সামনে আসার পরেই তামাং ও থাপার মধ্যে ফের নতুন করে বিরোধ মাথাচাড়া দিয়েছে। যদিও দুইজনে এখনও এই বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। কিন্তু তামাং ঘনিষ্ঠদের দাবি, এই ঘটনা ঘটছে দেখেই অনীত থাপার সঙ্গে বিনয় তামাংয়ের বিরোধের সূত্রপাত। তার জেরেই তামাং জিটিএ চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। পরে দুই নেতা রাজনৈতিক ভাবেও পরস্পরের থেকে দূরে সরে যান। যদিও এখনও দুই নেতাই রাজ্যের শাসক দল ঘনিষ্ঠ। এই অবস্থায় তামাং নাকি তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, এই বিষয়ে সিবিআই তদন্ত হলে তিনি যা জানেন তা জানিয়ে দেবেন। এই অবস্থায় চুপ করে বসে নেই থাপার ঘনিষ্ঠ অনুগামীরাও। তাঁদের দাবি, গোটা ঘটনাই বিজেপির চক্রান্ত। পাহাড়ের মানুষ তাঁদের কথা না শুনে বিপুলভাবে জিটিএ নির্বাচনে অংশ নিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা আর অশান্তি চান না। অনীত থাপার দলকে জিতিয়ে তাঁরা বিজেপিকে মক্ষম জবাবও দিয়েছেন। তাই বিজেপি এখন অনীতের বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ তুলে জিটিএ ভেঙে দিতে চাইছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যের জন্য বিশেষ অবজারভার দিল্লির কমিশন পাঠাচ্ছে : অরিন্দম নিয়োগী

চাই পুরসভা, চাই পূর্ণাঙ্গ থানা, গলা তুলছে আমোদপুর

নির্বাচন কমিশনকে ‘মেসো’ বলে কটাক্ষ দিলীপের

দইয়ের পর এবার হুগলীর ঘুগনিতে মুগ্ধ রচনা, খেলেন আবার খাওয়ালেনও

‘ভগবানের’ প্রার্থীপদ খারিজের দাবি তৃণমূলের, নেপথ্যে মৃত্যু কামনা

ভাটপাড়া থেকে নিখোঁজ ছাত্রীকে বিধাননগর স্টেশন থেকে উদ্ধার করল পুলিশ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর