নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তর দিনাজপুর: গত বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর বিজেপি যুবমোর্চার উত্তরকন্যা অভিযানে গিয়ে শহিদ হয়েছিলেন রাজগঞ্জের বিজেপি কর্মী উলেন রায়। যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। কিন্ত তাঁর মৃত্যুর বছর ঘুরতেই উলেন রায়কে ভুলে গেলেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। এমনটাই দাবি নিহত বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের স্ত্রীর।
যদিও মঙ্গলবার উলেন রায়ের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে দিনভর তার রাজগঞ্জের বাড়িতে থাকা সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। এসেছিলেন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী, বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি দীপেন প্রামাণিক সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। উলেন রায়ের স্ত্রী মালতি রায়ের অভিযোগ, বিজেপির শীর্ষ নেতারা কথা রাখেননি। মাসে মাসে আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা কার্যত হয়নি। এককালীন কিছু টাকা দেওয়া হয়েছিল।
তাঁর আরও বক্তব্য, বাড়ির একমাত্র উপার্যনের লোকের মৃত্যু হবার পর থেকে পরিবারের অন্যান্যদের নিয়ে সংসার চালাতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন তিনি। ফলে আজও সুবিচার পায়নি শহীদের পরিবার।
এই ঘটনায় বিজেপি জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন আজ আমাদের উত্তরকন্যা অভিযানে পুলিশ গুলিতে শহীদ উলেন রায়ের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী আমরা যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করলাম। এক বছর পার হয়ে গেলেও মৃতের পরিবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সুবিচার পায়নি। রাজ্য সরকার কোনও সাহায্য পর্যন্ত করেনি। আমরা এই পরিবারের পাশে প্রথম থেকে দাঁড়িয়েছি। যতদুর সম্ভব সাহায্য করেছি। ভবিষ্যতেও করবো। এদিন মালতী রায়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন দলের পক্ষে যতদুর সম্ভব ততটাই আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে উলেন রায়ের পরিবারকে। তিনি দাবি করেছেন, দুই দফায় মোট ৬ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করেছে বিজেপি। ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই আরও সাহায্য করবে।
প্রসঙ্গত, বিজেপির পক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার পরেও মৃতের শহীদ পরিবারের অভিযোগ কথা রাখেনি বিজেপি। দলেরই একাংশ দাবি করছেন, উলেন রায়ের মৃত্যুর পর তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করে মাসে মাসে ৬ হাজার টাকা করে পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে এই কথা দিয়েছিলেন বিজেপির এক বিধায়ক। কিন্তু সেই কথা তিনি রাখেননি তিনি।