এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দেউচা-পাঁচামিতে বিক্ষোভের মুখে বিজেপি

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য সরকার ও শাসক দলকে অস্বস্তিতে ফেলতে গিয়ে বৃহস্পতিবার নিজেরাই অস্বস্তিতে পড়ে গেল বঙ্গ বিজেপি। বীরভূম জেলার সিউড়ি সদর মহকুমার মহম্মদবাজার ব্লকের দেউচা-পাঁচামি এলাকায় কয়লাখনি গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তার জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করার কথাও ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। যার মধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের কাজে। সেই উন্নয়নমূলক কাজ ঠেকিয়ে দিতে এখন বিজেপির লক্ষ্য হচ্ছে দেউচা-পাঁচামি এলাকায় বসবাসকারী আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের ভুল বুঝিয়ে তাঁদের এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা। সেই কাজ করতে গিয়েই এদিন পাল্টা বিক্ষোভের মুখে পড়ল বিজেপির প্রতিনিধি দল। সেই সঙ্গে তাঁদের দেখতে হল কালো পতাকাও।

দেউচা পাঁচামি এলাকায় কয়লাখনি গড়ে তুলতে সেখানকার ১২টি গ্রামের কমবেশি ২১ হাজার মানুষকে সেখান থেকে সরাতে হবে। আর এই সব মানুষদের বেশিরভাগটাই আদিবাসী জনসম্প্রদায়ের। প্রথম থেকেই তাঁরা কিন্তু এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে সরব রয়েছেন। কেননা নানা মহল থেকে তাঁদের ভুল বোঝানো হচ্ছে যে তাঁদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন না দিয়েই রাজ্য সরকার সেখানে জোর করে জমি অধিগ্রহণ করে কয়লাখনি শিল্প গড়ে তুলতে চলেছে। কিন্তু এই প্রচার যে সম্পূর্ণ মিথ্যা তা জানাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে চলতি মাসের ৯ তারিখে এই প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণা করে দিয়েছে্ন। তিনি জানিয়েছেন যে, এই প্রকল্পের জন্য যাদের জমি বাড়ি যাবে তাঁদের  বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১৩ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এছাড়াও জিনিসপত্র স্থানান্তর, রক্ষণাবেক্ষণ এবং খামারে থাকা পশুপাখিদের জন্যেও আরও সাড়ে ৫ লাখ টাকা পাবেন বাসিন্দারা। সরকারের তৈরি পুর্নবাসন প্রকল্প অনুযায়ী ৬০০ বর্গফুটের একটি বাড়িও পাবেন তাঁরা এবং পরিবারপিছু একজন সদস্যকে কনস্টেবল র‍্যাঙ্কে চাকরি দেবে রাজ্য সরকার।

মুখ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণা যাতে দেউচা-পাঁচামি এলাকায় বসবাস করা মানুষদের মধ্যে পৌঁছায় তার জন্য বীরভূম জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই তা বাংলা ও অলচিকি ভাষায় হ্যান্ডবিলি আকারে ছাপিয়ে তা ছড়িয়ে দিচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে। যাতে ক্ষতিগ্রস্থরা বুঝতে পারেন তাঁরা ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন হিসাবে ঠিক কী পেতে চলেছেন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। বীরভূম জেলা প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে ইতিমধ্যেই স্বাগত জানিয়েছেন আদিবাসী গাঁওতা সংগঠনের সম্পাদক রবিন সরেনও। তিনি জানিয়েছেন, ‘সরকার যে পদক্ষেপ করেছে, তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আমাদের সঙ্গে আলোচনার পর সমস্ত দিক বিচার-বিবেচনা করে এই কয়লাখনি গ়ড়ার কাজে এগোক সরকার। কোন পদক্ষেপের আগে যেন আমাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা হয়।’ জেলা প্রশাসনও আলোচনার মাধ্যমেই ২১ হাজার মানুষকে প্রস্তাবিত খনি এলাকা থেকে সরানোর কাজ শুরু করতে চায়। কিন্তু তারমধ্যেই এদিন সেখানে অশান্তি লাগাতে হাজির হয়েছিল বিজেপির প্রতিনিধি দল যার নেতৃত্বে ছিলেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা গাড়ি নিয়ে দেউচা পাঁচামিতে পা রাখতেই গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দেখানো হয় কালো পতাকাও। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, ‘খনি প্রকল্পে রাজ্য সরকারের প্রস্তাবে আমরা রাজি। বিজেপি অশান্তি পাকাতে এসেছে। তাই বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।’

এর পাশাপাশি এদিন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় জানিয়েছেন, ডেউচা-পাঁচামি কয়লাখনি নিয়ে আলোচনার পথ খুলে রেখেছে রাজ্য সরকার। আলোচনার মধ্যে দিয়েই ওই এলাকায় কয়লাখনি শিল্প গড়ে তোলা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করা পুনর্বাসন প্যাকেজ হ্যান্ডবিল আকারে তৈরি করা হয়েছে। সেই হ্যান্ডবিল বাংলা এবং অলচিকি, এই দুই ভাষাতেই ছাপানো হয়েছে। সেই হ্যান্ডবিল ওই এলাকার মানুষদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। প্যাকেজ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয় স্থানীয়দের বুঝতে যাতে অসুবিধে না হয়, সে জন্য এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আলোচনার মাধ্যমেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে।   

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘পরিসংখ্যানের লড়াই হোক, শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন’, মোদিকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

সন্দেশখালিকাণ্ডে রেখা পাত্রের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের

মোদিকে দেখে অনুপ্রাণিত, ভোটের ময়দানে ওড়িশার চাওয়ালা

‘সন্দেশখালির বেলুন আলপিন ফুটেছে, চক্রান্ত এখন জনসমক্ষে’, বিজেপিকে নিশানা অভিষেকের

প্রচারের শেষলগ্নে চণ্ডীপাঠের মন্ত্র বিকৃত করার অভিযোগে বিদ্ধ অসীম

বৃষ্টির জেরে  বীরভূমে বাতিল  জনসভা, ভার্চুয়ালি প্রচার অভিষেকের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর