এই মুহূর্তে

ছেলে-বউমার চাকরির জন্য ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ বিজেপি নেতার

নিজস্ব প্রতিনিধি: নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় নাম জড়িয়েছে একের পর এক তৃণমূল(TMC) নেতামন্ত্রীর। এমনকি তৃণমূলের বহু জনপ্রতিনিধিরা ও তাঁদের নিকটজনেরা যে এই নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় চাকরি পেয়েছেন, এমন অভিযোগও সামনে এসেছে। আবার এটাও দেখা গিয়েছে তৃণমূলের নেতা ঘনিষ্ঠজনের চাকরির জন্য মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়েও চাকরি পাননি। এবার সেই তালিকায় নাম উঠল এক বিজেপি(BJP) নেতারও যিনি ছেলে(Son) আর ছেলের বউয়ের(Daughter in Law) জন্য ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ(Bribe) দিয়েছিলেন কিন্তু চাকরি জোটেনি একজনেরও। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা যে জেলা থেকে সামনে এসেছে তা আবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) নিজ জেলা পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur)। সেখানকার পাঁশকুড়া থানার(Panshkura PS) পুরুষোত্তমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিত্যানন্দচক গ্রামের বাসিন্দা ওই বিজেপি নেতা। নাম বিশ্বনাথ বেরা।

আরও পড়ুন TB-তে আক্রান্ত কলকাতা, ১ বছরে আক্রান্ত ১৩ হাজার, মৃত ২৭২জন

জানা গিয়েছে, সিপিএমের শাখা কমিটির প্রাক্তন সদস্য বিশ্বনাথবাবু এখন সক্রিয় বিজেপি কর্মী। তিনি তাঁর ছেলে শম্ভুনাথ বেরা ও বউমা বিষ্ণুপ্রিয়া প্রধান বেরার প্রাইমারি চাকরির জন্য পাশের মহাদোল গ্রামের একজনকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। মোট ২৫ লক্ষ টাকার চুক্তি হয়েছিল। ২০১৫ সালে অগ্রিম বাবদ ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। ৫০টাকার স্ট্যাম্প পেপারে(Stamp Paper) এনিয়ে চুক্তিও হয়েছিল। চাকরির নিয়োগপত্র পাওয়ার পর আরও ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, কারও চাকরি হয়নি। অগ্রিম বাবদ দেওয়া টাকাও ফেরত পাননি বিশ্বনাথবাবু। এরপরই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশে ২১ মার্চ মহাদোল গ্রামের এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে এফআইআর(FIR) করে তদন্ত শুরু করেছে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। বিশ্বনাথবাবুর দাবি, ‘আমার ছেলে ও বউমা কিছু করে না। তাই তাদের প্রাইমারি চাকরির চেষ্টা করেছিলাম। ধারদেনা করে টাকা দিয়েছিলাম। এখন সেই ধার শোধ করতে পারছি না। টাকা ফেরত চাইতে গেলে অভিযুক্ত প্রথমে ৭ লক্ষ টাকা ফেরানোর আশ্বাস দেয়। পরবর্তীতে টাকা না ফিরিয়ে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। তাই আমি আদালতের দ্বারাস্থ হই।’

আরও পড়ুন মমতার ‘মেধাশ্রী’ প্রকল্পের টাকা পেল প্রায় লক্ষ OBC পড়ুয়া

বিশ্বনাথবাবু একসময় নিত্যানন্দচক গ্রামের সিপিএমের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। গ্রামের যে কোনও সালিশি সভায় তাঁর উপস্থিতি থাকত। সিপিএম ক্ষমতা থেকে চলে যেতেই তিনি দলবদল করে বিজেপির পতাকা তুলে নেন। এখন বিজেপির বুথস্তরের নেতা। ছেলে ও বউমার চাকরির জন্য তিনি মহাদোল গ্রামের ওই ব্যক্তিকে টাকা দিয়েছেন বলে দাবি করেন। চাকরি না হলেও ওই টাকাও ফেরত পাননি। এনিয়ে পুরুষোত্তমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে নির্বাচিত স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য প্রবীর বেরার কাছেও সালিশির জন্য দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এই বিষয়ে প্রবীরবাবু জানিয়েছেন, ‘টাকার লেনদেনের সময় আমাদের কিছু জানানো হয়নি। এখন সালিশির মাধ্যমে টাকা ফেরতের আর্জি আমাদের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। তাই আইনের দ্বারস্থ হতে বলেছিলাম। সেইমতো উনি কোর্টের দ্বারস্থ হন। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে এফআইআর হয়েছে। এক্ষেত্রে আইন মোতাবেক পদক্ষেপ হবে।’ এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তি জানিয়েছেন, ‘বিশ্বনাথবাবু আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। আইনি পথে আমি সেটা প্রমাণ করব।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভূপতিনগরে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৮ তৃণমূল নেতাদের তলব করল এনআইএ

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দ

‘দিদিকে’ ভালোবেসে বিনা পারিশ্রমিকে দেওয়াল লিখনে ব্যস্ত অশীতিপর বোস দা

প্রচারে নেমেই স্থানীয় ‘ঠাম্মা’-কে জড়িয়ে ধরলেন রচনা

সোমবার পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছে যাবে

সুকান্তের জেলায় ভোট প্রশিক্ষণে গরহাজির ৭০০ কর্মীকে শোকজ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর