নিজস্ব প্রতিনিধি: আরও এক পদ্ম বিধায়ক(BJP MLA) কী তৃণমূলের(TMC) পথে? প্রশ্ন উঠে গেল উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং(Darjeeling) জেলার ফাঁসিদেওয়া বিধানসভা কেন্দ্রের(Phansidewa Assembly Constituency) নির্বাচিত বিজেপি বিধায়ক তথা শিলিগুড়ি বিজেপির জেলা সম্পাদক দুর্গা মুর্মুকে(Durga Murmu) ঘিরে। কেননা তিনি দলের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, শোনা যাচ্ছে তাঁর সঙ্গে নাকি বিজেপির শিলিগুড়ি জেলা সংগঠনের অন্তত ৩০জন নেতা নাকি জোড়াফুলে আসতে চলেছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের তরফে এই বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। তবে বিজেপি নেতাদের দাবি, বিষয়টি দলের গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনা মাত্র। পদ ছাড়লেও দল ছাড়ছেন না কেউই। যদিও গেরুয়া শিবিরে কান পাতলে ভিন্ন কথাই শোনা যাচ্ছে। দুর্গা সহ বিক্ষুব্ধদের একটা বড় অংশই নাকি যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূলে। সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে।
একুশের ভোটে দুর্গা ফাঁসিদেওয়া বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়ে ১ লক্ষ ৫ হাজার ৬৫১টি ভোট পেয়েছিলেন যা প্রদত্ত ভোটের ৫০.৮৯ শতাংশ ছিল। তিনি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছোটন কিস্কুর থেকে ২৭ হাজার বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন। অথচ সেই নির্বাচনের ১ বছর হওয়ার আগেই অনুষ্ঠিত হয় শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচন। একুশের ভোটে শিলিগুড়ি মহকুমা এলাকায় বিজেপি ৩টি বিধানসভা কেন্দ্রেই জয়ী হয়েছিল। সবাই ভেবেছিল সেই কারণে মহকুমা পরিষদের নির্বাচনেও বিজেপিই বাজিমাত করবে। যদিও তা হয়নি। বরঞ্চ দেখা যায় সেই নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে পদ্মশিবির। ফাঁসিদেওয়া বিধানসভা কেন্দ্রে তো বটেই গোটা শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের এলাকাতেও ভরাডুবি হয় বিজেপির। কার্যত সেই সময় থেকেই শিলিগুড়ি মহকুমা এলাকাজুড়েই বিজেপি ত্যাগের হিড়িক পড়ে যায় যা এখন চূড়ান্ত আকার নিতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
শিলিগুড়িতে বিজেপির অন্তকর্লহ কার্যত দলের দুই নেতাকে ঘিরে। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ ও আনন্দ রায়বর্মণের মধ্যে। সম্প্রতি শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির দায়িত্ব পেয়েছেন অরুণ মণ্ডল। তিনি শংকর ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। অভিযোগ, অরুণ দায়িত্ব পাওয়ার পরই অযোগ্যদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিচ্ছেন যার জেরে চরমে ওঠে কোন্দল। সেই কারণেই একে একে দলের পদ ছেড়েছেন দলেরও ৩০জন নেতা। এই পদত্যাগের হিড়িকে স্বাভাবিকভাবেই বেশ চিন্তায় বিজেপি নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, আগামী ২৮ আগস্ট শিলিগুড়ি যাবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কথা বলবেন, শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সঙ্গে। কিন্তু তলে তলে এটাও শোনা যাচ্ছে দুর্গা এই বিক্ষুব্ধ ৩০জন নেতাকে নিয়ে নাকি শীঘ্রই তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন।