নিজস্ব প্রতিনিধি: গোবরডাঙা, বনগাঁর নহাটার পর গাইঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের ঠাকুরনগরের ষষ্ঠীতলায় ফের বনভোজনের আয়োজন করলেন জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বিজেপির ‘বিদ্রোহী’ নেতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিজেপি বিক্ষুদ্ধদের নিয়ে পিকনিক করেই চলেছেন তিনি। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন ঠাকুরনগর। গাইঘাটার বিধায়ক তথা সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের ভাই সুব্রত ঠাকুরের উদ্যোগেই হচ্ছে এই পিকনিক।
জানা গিয়েছে, ভাত-ডাল, মাছ-মাংস ছাড়াও একগুচ্ছ পদ থাকছে এই পিকনিকে। মোট ৩০০ লোকের আয়োজন করা হয়েছে বলে খবর। সুব্রত ঠাকুর ছাড়াও এই পিকনিকে হাজির থাকার কথা শান্তনু ঠাকুরের। এখন দেখার মতুয়া সম্প্রদায়ের কতজন বিধায়ক ও কতজন নেতৃত্ব বা রাজ্য নেতাদের কেউ সেই পিকনিকে যান কিনা। শীতের মরশুম শুরু হলেই রাজ্যে পিকনিক মুডে মাতে আমজনতা। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিয়ে পিকনিকের চল শুরু করেছেন শান্তনু ঠাকুর। মূলত বর্তমান বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজ্য কমিটি গড়তে মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতাদের বাদ দিয়ে দেন। যাতে ক্ষুদ্ধ হয়ে বিজেপির সাংগাঠনিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বনগাঁর সাংসদ। তারপরেই শুরু হয় বিদ্রোহ।
যদিও শান্তনুর ডানা ছাঁটতে তাঁর সঙ্গে থাকা একাধিক বিধায়ককে নিজ এলাকায় পুরসভার কনভেনার করা হয়। তারপর থেকেই ক্রমশ একা দেখা যাচ্ছে শান্তনু ঠাকুরকে। কিন্তু এর মাঝেই ‘কুছ পরোয়া নেহি’ মুডেই রয়েছেন শান্তনু। একের পর এক পিকনিকের আয়োজন করে দলের বিরুদ্ধেই প্রকাশ্যে বিদ্রোহ জানিয়েই চলেছেন জাহাজ প্রতিমন্ত্রী।