নিজস্ব প্রতিনিধি: জমি আন্দোলনের পীঠস্থান নন্দীগ্রামে কৃষি দফতরের কার্যালয়ে ঢুকে এক সরকারি আধিকারিককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। ওই কৃষি আধিকারিককে লাথি, কিল, চড়, ঘুষি মারা হয় যথেচ্ছ ভাবে। শুক্রবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামের হরিপুরে কৃষি দফতরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ডেপুটেশন দিতে গিয়েছিলেন বিজেপির কর্মীরা। সেই ডেপুটেশনের নাম করে বিজেপির কর্মীরা কৃষি দফতরের ওই আধিকারিককে হেনস্থা ও মারধর করেন। স্মারকলিপি জমা দেওয়ার নাম করে সরকারি আধিকারিককে এভাবে মারধরের ঘটনা এর আগে বাংলার বুকে কখনও দেখা যায়নি। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে ঘিরে জেলার রাজনীতিতে ছিঃ ছিঃ তো পড়েই গিয়েছে, রাজ্যজুড়েও তমুল সমালোচনার মুখে পড়েছে বিজেপি।
শুক্রবার নন্দীগ্রামের হরিপুর অঞ্চলে কিষান মাণ্ডিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে স্মারকলিপি জমা দিতে আসেন বিজেপি কর্মীরা। কৃষি দফতরের বাইরে যখন মিছিল এসে পৌঁছয়, সে সময় বিশেষ কাজে বাইরে যাচ্ছিলেন বরুণ মণ্ডল নামে এক আধিকারিক। ঠিক তখনই বিনা প্ররোচনায় বিজেপির কর্মীরা তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন ও তাঁকে যথেচ্ছ ভাবে কিল চড় ঘুঁষি মারতে থাকে জন ১০-১২ বিজেপি কর্মী। লাথিও মারা হয় তাঁকে। এমনকী জামা ধরে টেনে হিঁচড়ে তাঁকে নিয়ে আসা হয় রাস্তায়। সেখানে তাঁকে ফেলে পেটানো হয়। এর জেরে নন্দীগ্রামের কৃষি দফতরের সামনে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।
বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, কৃষি দফতর সরকারি সুবিধা শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজনকে পাইয়ে দেওয়া হচ্ছিল। তারই প্রতিবাদ করা হয়েছে। স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তা থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। যদিও কৃষি দফতরের কর্মী থেকে আধিকারিক সকলের দাবি, বিজেপির কর্মীরা বিনা প্ররোচনায় প্রাণে মারার লক্ষ্য নিয়েই হামলা চালিয়েছেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, গোটা ঘটনাটি পিছন থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা মেঘনাথ পাল।