নিজস্ব প্রতিনিধি: নিজস্ব প্রতিনিধি: দোলের পরেরদিনই উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি। দত্তপুকুরের বুলবুল কমিউনিটি হলের মালিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। যা নিয়ে এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ তাঁকে খুন করা হয়েছে, এই অভিযোগে ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কে কাঠের গুড়ি ফেলে অবরোধ করেছেন এলাকাবাসীরা। ঘটনাকে সামাল দিতে ঘটনাস্থলে দত্তপুকুর থানার পুলিশ পৌঁছেছে।হায়দরাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটিতে শিল্প নির্দেশক হিসেবে কাজ করতেন মৃত হলমালিক সমীর পাল।
আর নিজের কর্মস্থলে এলাকার বহুমানুষের কাজের ব্যবস্থা করেছিলেন। তাঁর হাত ধরে দত্তপুকুর এলাকার প্রচুর মানুষ রামোজি ফিল্ম সিটিতে কাজও পেয়েছেন। তাই এলাকার মানুষদের কাছে তিনি অনেক শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। সূত্রের খবর, অবসরের পর দত্তপুকুর বাজারের কাছে একটি কমিউনিটি হল তৈরি করেছিলেন ৬৩ বছরের সমীর। মঙ্গলবার তাঁকে তাঁর মৃতদেহ হলের পাশের গাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছেন। সমীর পালের দেহ ৬৩ নং দত্তপুকুর থানার টালিখোলা বুলবুল কমিউনিটি হলের মালিক কমিউনিটি হলের পাশেই একটি গাছে ঝুলতে দেখতে পায় এলাকার মানুষজন। এলাকার মানুষের দাবি তাঁকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দোষীদেরকে গ্রেফতার করতে হবে এই দাবি তুলেই ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষজন। দীর্ঘক্ষণ মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভের পর পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসের অবরোধ প্রত্যাহার করে স্থানীয় বাসিন্দারা, মৃতদেহ উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য বারাসাত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কি কারনে তিনি খুন হলেন, তার গোটা বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। বিক্ষোভরত স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, ‘সকাল ৮টা নাগাদ খবরটা পেয়েছেন তিনি। আমগাছে ঝুলতে দেখা যায় তাঁর দেহ। সমীর আত্মহত্যা করতে পারেন না। ষড়যন্ত্র করে তাঁকে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকা বাসিন্দাদের। সোমবার কমিউনিটি হলেই ছিলেন। কাছেই ওঁর বাড়ি। যাতায়াত করেন