নিজস্ব প্রতিনিধি: এক আধজন নয়, ২৩জন। শেষ কবে এত জনের প্রাণহানীর ঘটনা জেলার বুকে ঘটেছে সেটা এখনও মনে করতে পারছেন না কেউই। কার্যত এক ধাক্কায় রাতারাতি ২০টি পরিবার অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে পড়ে গিয়েছে। স্বজন হারানোর যন্ত্রণায় এখন সেই সব পরিবারের বাড়িতে বাড়িতে উঠেছে কান্নার রোল। সবার এখন একটাই অপেক্ষা কবে আর কখন আসবে দেহ। প্রিয়জনকে শেষ দেখার অপেক্ষা এখন প্রহরকেও হার মানিয়েছে। গতকাল অর্থাৎ বুধবার উত্তর-পূর্ব ভারতের মিজোরামে(Mizoram) আইজলের(Aizawl) কাছে সাইরাগে নির্মাণাধীন রেল সেতু ভেঙে(Bridge Collapsed Accident) পড়ে ৩৫জন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে ২৩জনই মালদা(Malda) জেলার বাসিন্দা। সেই দুর্ঘটনার কার্যত শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা জেলা।
জানা গিয়েছে জেলার যে ২৩জন শ্রমিক মারা গিয়েছেন তার মধ্যে শুধু রতুয়া-২ ব্লকেরই বাসিন্দা ১৬জন। সেই ১৬জনের মধ্যে ১১জন আবার পুখুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌদুয়ার গ্রামের বাসিন্দা। সেখানেই এখন বাড়িতে বাড়িতে কান্নার রোল উঠেছে। পাশের কোকলামারি গ্রামের ২জন, সেই সঙ্গে কুতুবগঞ্জ, পরাণপুর ও সুতানগঞ্জের ১জন করে শ্রমিক মারা গিয়েছেন। জেলার ইংলিশবাজার ব্লকের বিনোদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাট্টারি এলাকায় ৫জন মারা গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আবার ৪জন একই পরিবারের সদস্য। এই ব্লকেরই আরও ১জন এবং মানিকচক ব্লকেরও আরও ১জন করে এই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মিজোরামের যে প্রত্যন্ত এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখান থেকে ভৈরবী নামে এক রেল স্টেশনে দেহগুলি আনা হয় এদিন। সেখান থেকে এদিনই উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ট্রেনে চাপিয়ে তা মালদা টাউন স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামিকাল বিকালে তা মালদা টাউন স্টেশনে পৌঁছাবে।