নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ভুঁড়ি ভুঁড়ি অভিযোগ। ১৫ মাসের ব্যবধানে গ্রেফতার রাজ্যের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী। অথচ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা ভাসা ভাসা তথ্য ছাড়া পোক্ত প্রমাণ সেভাবে দিতে ব্যর্থ। গত বছর ২৩ জুলাই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপরেই তাঁর ‘অপা’ বাসভবন চর্চায় এসেছিল। এবার বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হতেই ‘দোতারা’ নিয়ে চর্চা।
বোলপুরের শান্তিনিকেতনে মন্ত্রীর বিলাবহুল বাড়ি ‘দোতারা’। জানা গিয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যে ২০১৭ সালে বাড়িটি কিনেছিলেন তিনি। কেনার পর বাড়িতে ৮৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছিলেন। বর্তমানে বাড়ির আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা। কার্যতই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এই বাসভবন নিয়ে এবার শোরগোল পড়েছে শান্তিনিকেতনে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার(২৬ অক্টোবর) সকাল থেকেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেকের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সল্টলেকের বিজি ব্লকের দুটি বাড়ি সহ পৈতৃক বাড়ি বেনিয়াটোলাতেও হানা দেয় ইডি। একই সঙ্গে তাঁর আপ্ত সহায়কের তিনটি বাড়ি ও চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের বাড়িতেও পৌঁছয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনকি হাওড়া ব্যাটরা থানা এলাকার কাটাপুকুরে তাঁর অপর আরেক পিএ-এর বাড়িতেও হানা দেয় ইডি। সকাল থেকে মোট আটটি জায়গায় তল্লাশি চালান তাঁরা। বেশ কিছুদিন ধরেই রেশন দুর্নীতির তদন্ত চালাচ্ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সম্প্রতি বাকিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তির গ্রেফতারের পরেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম উঠে আসে। এরপরেই মন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। টানা ২১ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশির পর রাত ৩.২২ নাগাদ গ্রেফতার করা হয় বনমন্ত্রীকে।