নিজস্ব প্রতিনিধি: ডিজেল (Diesel) ছুঁয়েছে সেঞ্চুরি। তাই মালিকেরা বাসে ভরছে কেরোসিন। সেই বাস ছুটে বেড়াচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়, এমনকি কলকাতাতেও। ফলে বাড়ছে পরিবেশ দূষণ। ডিজেলের বেলাগাম মূল্য বৃদ্ধির ফলে হচ্ছে বেলাগাম দূষণ। এতে আতঙ্কিত পরিবেশবিদরা।
খরচ বাঁচাতে কেরোসিন ভরা হচ্ছে বাসে (Bus)। রাজ্যের অন্যান্য জেলায় এই চিত্র ধরা পড়েছে। রাজধানী কলকাতাতেও এরকম বাস মাঝেসাঝেই ঢুকে পড়েছে বলে সূত্রের খবর। কেরোসিন ভরার ফলে পরিবেশ দূষণ হবে। তা মাত্রাতিরিক্ত। শুধু তাই নয়, ক্ষতি হবে বাসের ইঞ্জিন সহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশের। তবু খরচ বাঁচাতে এ ছাড়া আর অন্য বিকল্প খুঁজে পাচ্ছেন না বাস মালিকেরা। নিয়মিত রুটের সাধারণ বাস ও মিনিবাসই এই কাজ করছে। এমনকি আরও আশঙ্কার বিষয় অনেক বাসেরই নেই ফিটনেস, পলিউশন সার্টিফিকেট। ফলে দূষণের মাত্রা বাড়ছে আরও। এতে হয়তো সাশ্রয় হচ্ছে কিছু তবে পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আরও অনেক বেশি। যার প্রভাব মারাত্মক।
বিভিন্ন বাস মালিকেরা জানাচ্ছেন, উচিত নয় জানেন তাঁরা কিন্তু এছাড়া আর উপায়-ও নেই কোনও। এটাও সম্ভব না হলে বাস চালানো যাবে না। কারণ হিসেবে জানাচ্ছেন, এভাবে মাসে অন্তত কুড়ি হাজার থেকে তিরিশ হাজার টাকা বাঁচানো যায়। মানে বছরের হিসেবে দেখলে বাস মালিকদের সাশ্রয় হচ্ছে ২ লক্ষ চল্লিশ হাজার থেকে ৩ লক্ষ ষাট হাজার টাকা। তবে বাসের যে ব্যাপক ক্ষতি হয় এককথা জানিয়েই তাঁদের উত্তর, তবু তো চার- পাঁচ বছর এভাবে কস্ত করে চালিয়ে নেওয়া যাবে। আর পরিবেশ দূষণের প্রশ্নে তাঁদের উত্তর, ভুল জানেন সকলেই, তবু পেট চালানোর জন্য বাধ্য হয়েই এই বিকল্প উপায়। অন্য কোনও উপায় পাচ্ছেন না তাঁরা। ডিজেলের অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রকেই দুষছেন বাস মালিকেরা। আরও বলছেন, ভাড়া বাড়ালে যাত্রীদের মাথায় হাত পড়ে তাই বাধ্য হয়েই এই উপায় বেছে নেওয়া। তবে ৬৪ টাকা লিটার কেরোসিন ( Kerosene) মাঝেসাঝে কালোবাজার থেকে ৮০ টাকা থেকে ৮৫ টাকা দিয়েও কিনতে হয় বাধ্য হয়ে, এককথাও জানান বাসের মালিকেরা।
পরিবেশবিদরা এই ঘটনায় আতঙ্কিত তো বটেই। পরিবহণ দফতরও বিস্ময় প্রকাশ করেছে এই তথ্যে। আশংকা প্রকাশ করে দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়, এভাবে বাস চালালে ইঞ্জিনে আগুন পর্যন্ত লাগতে পারে। তাতে যাত্রীদের প্রাণের আশঙ্কা রয়েছে, ক্ষতি হবে বাসেরও।