এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

CAG’র রিপোর্টে বেআব্রু বাম জমানার SSC কেলেঙ্কারি, বঞ্চিত ১,১১০ প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে মামলার পর মামলা আর আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে লাল পার্টির নেতারা। সেই সঙ্গে চলছে মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতেও আন্দোলন। সেই সবের পিছনে প্রত্যক্ষ সমর্থন থাকছে বিজেপি(BJP) ও কংগ্রেসেরও। সেই প্রেক্ষাপটেই এবার সামনে এল বাম জমানার এক বড়সড় কেলেঙ্কারির ঘটনা। আর সেই ঘটনা সামনে নিয়ে এল কেন্দ্রের Comptroller and Auditor General of India বা CAG। তাঁদের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বাংলায়(Bengal) বামফ্রন্ট সরকারের(Left Front Govaernment) আমলে ২০০৯ সালে স্কুলে করণিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড়সড় দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছিল। সহস্রাধিক চাকরিপ্রার্থীকে বঞ্চিত করে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে CAG।

আরও পড়ুন বঙ্গের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার আধুনিকরণে ১২ হাজার কোটির বিনিয়োগ

রাজ্যে স্কুলশিক্ষক নিয়োগের ভারপ্রাপ্ত সংস্থা School Service Commission বা SSC গঠিত হয় ১৯৯৭ সালে। ২০০৮ সালে আইনে বদল এনে শিক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের দায়িত্বও SSC’র হাতে তুলে দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে স্কুলে করণিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। চাকরি পেতে Regional Level Selection Test বা RLST-তে বসার আবেদন করেন ৩ লক্ষ ৭ হাজার ১৩৬ জন পরীক্ষার্থী। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে তাঁদের চাকরি পাওয়ার কথা। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট ২০১৭ সালে বিজেপি পরিচালিত নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকারের কাছে জমা দেয় CAG। সেই রিপোর্টেই বলা হয় যে, ২০০৯ সালে নেওয়া সেই লিখিত পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ১ হাজার ১১০ জন যোগ্য প্রার্থীকে ইন্টারভিউতে ডাকেইনি SSC। উল্টে পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ বহু প্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ে ডেকে চাকরি দেওয়া হয় বলে রিপোর্টে জানিয়েছে CAG। কম নম্বর পাওয়া বহু প্রার্থীকে চাকরি দিতে অ্যাকাডেমিক স্কোর ও ইন্টারভিউয়ের নম্বর বদলে দেওয়া হয়েছে বলেও জানায় তারা। কিন্তু মজার কথা গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রেখে দিয়েছে মোদি সরকার। এমনকি এতবড় কেলেঙ্কারির ঘটনা নিয়ে কোনও পদক্ষেপই করেনি মোদি সরকার(Modi Government)। না কোনও অভিযোগ দায়ের হয়েছে না কোনও তদন্ত হয়েছে না এই ঘটনায় কেউ শাস্তি পেয়েছে।

আরও পড়ুন লড়াইয়ের সম্ভাবনা মাত্র ১০ আসনে, চমকে গেলেন শাহ

২০০৯ সালে যখন এই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল তখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস(INC) পরিচালিত দ্বিতীয় UPA সরকার। সেই সরকারের শরিক দল ছিল তৃণমূল কংগ্রেসও(TMC)। অথচ সেই দুর্নীতি নিয়ে কোনও দল ই সেভাবে সরব হয়নি। কেন হয়নি, সেই প্রশ্নও এখন উঠছে। বিজেপির আমলে তা সামনে এলেও সেই ঘটনা নিয়ে কেন গেরুয়া শিবির কোনও পদক্ষেপ করল না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে SSC’র আধিকারিকদের দাবি, ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বেশিরভাগ নথি কম্পিউটারে সংরক্ষিত হয়নি। SSC’র সদর দফতর সহ রাজ্যের পাঁচটি আঞ্চলিক অফিসে খাতায়-কলমে কাজ হতো তখন। সেসব নথি হারিয়ে গিয়েছে বা নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। এমনকি ২০১২ সাল পর্যন্ত আঞ্চলিক অফিসগুলি থেকে সল্টলেকে আচার্য সদনে বহু নথি ঠিকমতো জমা পড়েনি। বাম আমলেই একটি বেসরকারি সংস্থাকে ডিজিটাল মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণের বরাত দেয় SSC। ২০১২ সাল পর্যন্ত সেই সংস্থাকে ধাপে ধাপে ৩.২৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখন নাকি কোনও নথিই পাওয়া যাচ্ছে না। উল্লেখ্য, বাম আমলের নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে ইতিমধ্যে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এ সংক্রান্ত তথ্য জোগাড়ের দায়িত্ব তিনি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও স্কুলশিক্ষা দফতরকে দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, শিক্ষা দফতরের কর্তারা এই CAG রিপোর্টকে এখন হাতিয়ার করে রিপোর্ট তৈরি করছেন।    

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

LIVE: দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট আসনে শুরু ভোট

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ২ মে, উচ্চমাধ্যমিকের ৮ তারিখ

বেনজির কাণ্ড, বীরভূমে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দুই প্রার্থীর

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো বিজেপি ‘অর্ডার ফিক্সিং’ করছে, তোপ অভিষেকের

অভিজিৎকে নিশানা বানিয়ে দেবাংশুকে বড় দায়িত্ব দিলেন মমতা

তমলুকে মমতার নিশানায় অভিজিৎ, বাদ পড়লেন না বিকাশও

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর