এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

নেতাই গণহত্যাকাণ্ডে জামিন পেলেন না সিপিএমের ফুল্লরা

নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি তৎকালীন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঝাড়গ্রাম মহকুমার বিনপুর-১ ব্লকের লালগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতাই(Netai) গ্রামে সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর ছোঁড়া গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ওই গ্রামের ৯জন গ্রামবাসী। ওই ঘটনায় জখম হয়েছিলেন আরও ২৮জন গ্রামবাসী, যাদের মধ্যে অনেকেই সারা জীবনের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন। ওই গণহত্যাকাণ্ডের(Mass Killing) মামলা এখনও চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। ঘটনার মূল অভিযুক্ত স্থানীয় সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাট যার বাড়ির ছাদ থেকে সেদিন গুলি চালিয়েছিল হার্মাদরা। অভিযোগ, ওই গ্রামে যাতে কোনও ভাবেই মাওবাদী বা মাওবাদী প্রভাবিত জনসাধারণের কমিটির লোকেরা হামলা চালাতে না পারে তার জন্য রথীনের বাড়িতে মাসের পর মাস ধরে হার্মাদদের এনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তারা গ্রামবাসীদের ওপর এতটাই অত্যাচার শুরু করে যে গ্রামাবাসীরা বাধ্য হন সমবেত ভাবে প্রতিবাদ করতে। আর তার জেরেই সেদিন চলেছিল গুলি। সেই মামলাতেই একমাত্র মহিলা অভিযুক্ত ফুল্লরা মণ্ডলের(Fullora Mondol) জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)।

নেতাই গণহত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। তাদের মধ্যে গ্রেফতার হয় ১২ জন। ফুল্লরা তাঁদের মধ্যেই একজন। তিনি গ্রেফতারির পর থেকেই রয়েছেন মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। কয়েক মাস আগে তিনি হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। যুক্তি ছিল তিনি ১০ বছর ধরে সংশোধনাগারে থাকলেও আদালত এখনও তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারেনি। পুলিশ বা সিবিআই-ও তাঁকে দোষী প্রমাণিত করতে পারেনি। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। কিন্তু সেই সময় সিবিআই থেকেই সেই আবেদনের বিরোধীতা করা হয়। এরপরেই ফুল্লরা কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে তাঁর জামিনের জন্য আবেদন জানান। সোমবার সেই আবেদনের ওপর শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি বিভাসরঞ্জন দে’র ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু এদিন সেখানেও ফুল্লরার জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে।

এদিন ফুল্লরার জামিনের বিরোধীতা করেছেন রাজ্যের আইনজীবী। তাঁর দাবি, নেতাই গণহত্যাকাণ্ড রাজ্য তথা দেশের একটি অতন্ত স্পর্শকাতর ঘটনা। তাই সেই মামলায় কেউ জামিন পেয়ে গেলে বৃহত্তর সমাজে ভুল বার্তা যাবে। তাছাড়া ফুল্লরা মহিলা হলেও যথেষ্ট প্রভাবশালী। তিনি অবিবাহিত হলেও অবিভক্ত মেদিনীপুরের সিপিএমের জোনাল কমিটির সদস্য ছিলেন। আবার জেলা পরিষদের সদস্যও ছিলেন। সেই সঙ্গে নেতাই মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ১৪৮,১৪৯, ৩২৬, ৩০৭, ৩০২ এবং অস্ত্র আইনের ২৫/২৭ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে জামিন হওয়াই উচিত নয়। ভুললে চলবে না ফুল্লরার বিরুদ্ধে সব থে বড় অভিযোগ রথীন দণ্ডপাটের বাড়িতে ঘাঁটি গেড়ে থাকা সিপিএমের হার্মাদদের মদত দেওয়ার যারা সেদিন গুলি চালিয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই ফুল্লরা জামিন পেলে মামলা প্রভাবিত করার বা মামলার সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করতেই পারেন। তাই তাঁর জামিনের আবেদন যেন খারিজ হয়। রাজ্য সরকারের এই দাবি মেনে নিয়ে আদালতও ফুল্লরার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘কে কী খাবে তা নিয়ে আপনারা কেন ধমকাবেন’, প্রশ্ন ক্ষুব্ধ মমতার

‘কাকে সুবিধা করিয়ে দেওয়ার জন্য ৩ মাস ধরে ভোট’, প্রশ্ন মমতার

ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলে চাষের জমিতে দুটি হাতির লড়াইয়ে ২ বিঘা জমির ধান নষ্ট

‘আমি যা করব তাই মিম-স! প্রচারে বেরিয়ে বিরক্তি প্রকাশ রচনার

মমতার দাবি, ‘সম্ভবত জিতে যাবে’, অভিষেকের দাবি, ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’

‘বাংলার বাঘ হয়ে থাকব, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হয়ে বাঁচব’, গর্জন অভিষেকের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর