এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিদাররা কী আসল জবকার্ডধারী, খুঁজে দেখতে কমিটি

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন ধরেই বাংলার শাসক দলের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের(100 Days Work Project) অধীনে যারা কাজ করেছেন তাঁদের মজুরি দিচ্ছে না কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার। কাজ করিয়েও গরিব মানুষকে হকের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র, এমনই অভিযোগ রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকারের। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) দায়ের হয়েছিল ২টি জনস্বার্থ মামলা। ১টি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অপরটি করেছিল বামেদের কৃষক সংগঠন ক্ষেত মজদুর সংগঠন। সেই দুটি মামলাই এদিন অর্থাৎ ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার একযোগে শুনানির জন্য উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে। সেই মামলাতেই এদিন আদালত জানিয়েছে, যারা ১০০ দিনের কাজ করেও বেতন পাননি বলে অভিযোগ করছেন তাঁরা সকলে বৈধ জবকার্ডধারী(Valid Job Card Holder) কিনা সেটা আগে পরীক্ষা করে দেখা হবে। সেই পরীক্ষা করবে ৪ সদস্যের একটি কমিটি।

এদিনের শুনানিতে ক্ষেত মজদুর সংগঠনের তরফে দাবি করা হয় যে, তাঁরা ১০০ দিনের কাজ করেছেন। অথচ কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে এই নিয়ে টানাপড়েনের জন্য প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না। আবার শুভেন্দুর দাবি, ১০০ দিনের কাজের নামে বিপুল দুর্নীতি হয়েছে বাংলায়। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম নিজেও শুনানিকালে জানান, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের অধীনে কাজ না পেয়ে ৩২৭ জন তাঁকে চিঠি লিখেছেন। এরপরেই আদালত জানায়, সবার আগে খতিয়ে দেখা হবে যারা জবকার্ড থাকা সত্ত্বেও কাজ পাচ্ছেন না বলে দাবি করছেন বা জবকার্ড থাকা সত্ত্বেও কাজ পেয়ে কাজ করেও টাকা পাচ্ছেন বলে দাবি করছেন, তাঁরা সকলেই বৈধ জবকার্ডধারী কিনা সেটাই খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগের গভীরে পৌঁছতে হলে আগে দেখতে হবে যারা প্রাপ্য অর্থের দাবি করছেন, তাঁদের জবকার্ড বৈধ কি না। সেটাই খতিয়ে দেখবে ৪ সদস্যের একটি কমিটি। এই ৪জন আসবেন রাজ্য, কেন্দ্র, ক্যাগ বা কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অব ইন্ডিয়া এবং অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের তরফ থেকে এক জন করে প্রতিনিধি হিসাবে।

এর পাশাপাশি এদিন কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই ৪ সদস্যের কমিটিকে জেলা অনুযায়ী তথ্য খতিয়ে দেখতে হবে। প্রতিটি জেলার মহকুমায় যেতে হবে কমিটিকে। জবকার্ড যাচাই করতে হবে। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। কমিটির প্রতিনিধি হিসাবে কাদের মনোনীত করা হচ্ছে তা ওই দিনই আদালতকে জানাবে রাজ্য এবং কেন্দ্র। গোটা রাজ্যে ভুয়ো জবকার্ড সংক্রান্ত যে অভিযোগ উঠছে, তা নিয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট দেবে ওই কমিটি। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম জানিয়ে দেন, ‘দুর্নীতি যতই থাক, যারা প্রকৃত দরিদ্র, তাঁদের জন্য কী করা হয়েছে? কাউকে তো দায়িত্ব নিতে হবে।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চাষের জমি লুটের অভিযোগ শেখ শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে

রবিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি, সোমবার ভিজতে পারে কলকাতা

‘উনি কেন এখনও ফর্ম ফিলাপ করেননি?’, নাম না করে শান্তনুকে CAA খোঁচা মমতার

শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জমি হাতানোর অভিযোগ

‘এখন থেকে আমি আর মোদিবাবুর নাম নেব না, বড্ড মিথ্যে কথা বলেন’

বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করেই মৃত্যু মাধ্যমিক উত্তীর্ণ  ছাত্রীর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর