নিজস্ব প্রতিনিধি: নির্বাচনী নথি বিকৃত করার অভিযোগ সংক্রান্ত এক মামলায় এবার কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। নির্বাচনী নথি বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছিল হাওড়া(Howrah) জেলার এক BDO’র বিরুদ্ধে। আর সেই মামলাতেই কলকাতা হাইকোর্ট দিয়ে দিল CBI তদন্তের নির্দেশ। এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। শুধু তাই নয়, নির্বাচনী নথি বিকৃত করার অভিযোগ সংক্রান্ত এই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ৭ জুলাই তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন কেষ্টহীন কেষ্টর জেলায় কেষ্টময় নির্বাচন
জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া(Uluberia)-২ ব্লকের কাশ্মীরা বিবি ও ওমজা বিবির মনোনয়ন পত্র বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে ওই ব্লকেরই BDO-র বিরুদ্ধে। মামলাকারীদের অভিযোগ, নথি বিকৃত করার ফলেই স্ক্রুটিনি থেকে বাদ চলে যায় তাঁদের নাম। BDO-র কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে মামলাকারীদের তরফে। এদিন মামলার শুনানির সময়ে বিচারপতি বেশ ক্ষুব্ধ হয়েই জানান, ‘অশান্তি, রক্তপাত, জীবনহানি হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত। অশান্তির জন্য যদি কোনও প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে না পারেন, তবে তাঁদের অতিরিক্ত সময়ও দেওয়া উচিত কমিশনের। একটি নির্বাচন ঘিরে এত অভিযোগ। এটা রাজ্যের পক্ষে লজ্জার! রাজ্যের উচিত, আদালতের নির্দেশ মতো আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। তা না হলে বা অশান্তি, রক্তপাত, জীবনহানি হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন নওশদকে গ্রেফতারের পথে রাজ্য, দায়ের খুনের অভিযোগ
জানা গিয়েছে, যে দুই মহিলার তরফে এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল তাঁদের একজন ISF প্রার্থী ও অপরজন বাম প্রার্থী। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে তাঁদের নাম কেন নেই এই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল হন তাঁরা। আদালতকে তাঁরা জানান, মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শেষ। এমনকি, স্ক্রুটিনির কাজ সম্পূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের নাম কমিশনের ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে না। এই প্রসঙ্গেই মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে ভাঙড়ে অশান্তি, বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়া এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করার কথাও শুনানিতে টেনে আনেন মামলকারীরা।