এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

গ্রিন ট্রাইব্যুনালের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার(Alipurduyar) জেলার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প লাগোয়া জয়ন্তীতে(Jayanti) কংক্রিটের তৈরি সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হোটেল-রিসর্ট ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল পরিবেশ আদালত(National Green Tribunal) বা গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। সেই রায়ের জেরে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছিলেন ওই সব হোটেল ও রিসর্টের ব্যবসায়ীদের। পাশাপাশি সমস্যায় পড়েছিলেন জয়ন্তী এলাকার হোম-স্টে’র মালিকেরাও। কেননা জয়ন্তীতে বসবাস করা প্রায় দুই হাজার বাসিন্দার সিংহভাগ মানুষই পর্যটন ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল। অনেকের বাড়িতেই হোম-স্টে(Home Stay) আছে। সেটাই তাঁদের রুটি রুজি। কিন্তু পরিবেশ আদালতের নির্দেশের জেরে সেই সব হোম-স্টে বন্ধ করে দিয়েছিল পুলিশ। এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) মামলা দায়ের করেন বক্সা হোমস্টে টুরিজম সোসাইটি। এই সোসাইটির অন্যতম কর্তা দুর্গা অধিকারী সহ ১৮জন আদালতে পিটিশন দায়ের করেন। সেই মামলার শুনানি হয় জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে(Jalpaiguri Circuit Bench)। সেখানেই সার্কিট বেঞ্চ পরিবেশ আদালতের রায়ের ওপর ৬ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

জাতীয় পরিবেশ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প লাগোয়া জয়ন্তীতে কংক্রিটের তৈরি সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হোটেল-রিসর্ট ভেঙে ফেলতে হবে। সেই নির্দেশের জেরে রাজ্য বন দফতর একটি নির্দেশিকা দিয়ে জয়ন্তীর সমস্ত হোটেল, রিসর্ট ও হোমস্টে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। কার্যত বন দফতরের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই জয়ন্তীর হোম-স্টের ব্যবসায়ীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁরা আদালতে দায়ের করা মামলায় রীতিমত প্রশ্ন তোলেন যে জাতীয় পরিবেশ আদালত জয়ন্তী নিয়ে যে রায় দিয়েছে তাতে কী আদৌ হোম-স্টে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? সেই মামলার শুনানির পরেই শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের তরফে গ্রিন ট্রাইব্যুনালের রায়ের ওপর ৬ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, রাজ্য বন দফতর এবং মামলাকারীদের আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের দাবির যৌক্তিকতা জানাতে হবে। তারপরেই আদালত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। বক্সা হোম স্টে টুরিজম সোসাইটির সহ সম্পাদক সঞ্জয় সরকার জানিয়েছেন তাঁরা এই রায়ে খুশি।

এদিকে গতকাল রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ‘বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ১১টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের অস্তিত্ব আছে।  যথেষ্ট তথ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করেই বলছি বক্সার জঙ্গলে ১১টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের অস্তিত্ব আছে। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। পাশাপাশি বক্সা বাঘবনকে বাঘেদের নিবিড় আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে বক্সার কোর এলাকায় থাকা বনবস্তিগুলি ধাপে ধাপে অন্যত্র সরানো হবে। ১৫টি বনবস্তিকেই পুনর্বাসন দেওয়া হবে। প্রতিটি পরিবারকে এককালীন ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ দিলেই বনবস্তিগুলির এই পুনর্বাসন দেওয়ার কাজ শুরু হবে। একা রাজ্যের পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়।’ শুক্রবার আলিপুরদুয়ার জেলার প্রধান প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্সকন্যায় জঙ্গল ও পর্যটন নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের বনমন্ত্রী এই কথা জানিয়েছেন। কিন্তু তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে এখন বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বক্সার জঙ্গলে বনদপ্তরের ট্র্যাপ ক্যামেরায় একটি পূর্ণবয়স্ক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি ধরা পড়েছিল। এনিয়ে সেই সময় রাজ্যজুড়ে শোরগোলও পড়েছিল। এখন মন্ত্রীর দাবি বক্সায় বাঘ আছে ১১টি। এই দাবি কতখানি সত্যি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবিদ থেকে বাঘপ্রেমীরাও।

পাশাপাশি জয়ন্তীর বাসিন্দারা কিছু প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা ২০০৭ সাল থেকে শুনে আসছেন বনবস্তিগুলিকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। কিন্তু এখনও তা করা হয়নি। ২০০৭ সালে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছিল পুনর্বাসন হলে প্রতিটি পরিবারকে ১০ লক্ষ করে টাকা দেওয়া হবে। এখন ২০২২ সালে সেই একই কথা বলা হচ্ছে। অথচ ১৫ বছরে মাত্র বাড়তি ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলছেন মন্ত্রী। উনি জানিয়েছেন ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে প্রতিটি পরিবারকে। কিন্তু ওই ১৫ লক্ষ টাকায় কী হবে? ওই টাকায় বনবস্তির বাসিন্দারা জমি কিনবে, নাকি ঘর বানাবে নাকি কর্মসংস্থান খুঁজবে?

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নদিয়ার বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের বাড়ির সামনে আদিবাসীদের বিক্ষোভ

অনেক ভিডিও প্রকাশ পাবে, ভোট হোক, অনেকে ধরা পরবে : শেখ শাহজাহান

সোমবার পর্যন্ত বঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস, মঙ্গলবার থেকে বাড়বে তাপমাত্রা

শিলিগুড়িতে অক্ষয় তৃতীয়ার সকালে প্লাস্টিকের মধ্যে থেকে উদ্ধার সদ্যোজাত কন্যা সন্তান

মুকুট-মতুয়ায় ভর দিয়ে পরিযায়ীদের সঙ্গে নিয়ে রানাঘাট পুনরুদ্ধারের আশায় তৃণমূল

বারুইপুরে মাদকের গোপন ডেরায় হানা দিয়ে আক্রান্ত ১৫ জন পুলিশ কর্মী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর