এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ক্ষমা চান, আদালতের কড়া নির্দেশ আনিসের বাবাকে

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিপাকে পরলেন আনিস খানের বাবা সেলিম খান(Selim Khan)। আদালতের কড়া নির্দেশ নেমে এল তারওপর। চাইতে হবে ক্ষমা, আর সেটাও আদালতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) নিয়ে করা মন্তব্যের জেরে এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। শুধু তাই নয়, রীতিমত হলফনামা দিয়ে সেই ক্ষমা চাইতে হবে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গেল বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে এদিন আনিস খানের(Anis Khan) খুনের ঘটনার তদন্তের জন্য গঠিত স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেটিং টিম বা সিট(SIT) ৮২ পাতার এক রিপোর্ট জমা দিয়েছে। মুখ বন্ধ করা এক খামের মাধ্যমে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। সেই রিপোর্ট নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি সিটের কোনও সদস্যই।  

গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে আনিস খানের হত্যাকাণ্ডের জেরে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গেল বেঞ্চে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিচারপতি এজলাসে না আসায় মামলাটি আর সেদিন শুনানির জন্য ওঠেনি। তার জেরেই আনিসের বাবা সেলিম খান মন্তব্য করে বসেন যে, ‘মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই শুনানি হয়নি।’ সেই মন্তব্যের জেরেই এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা রীতিমত অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এদিন মামলাটি শুনানির জন্য এজলাসে উঠলে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই যদি শুনানি না হয়ে থাকে তাহলে ওঁর যদি আদালতের ওপর আস্থা না-ই থাকে, তবে আমি এই মুহূর্তে এই মামলাটির বিচারের কাজ থেকে সরে আসতে পারি।’ সেলিম খানের মন্তব্যকে হালকা করার জন্য তখন মাঠে নামেন তাঁর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘সেলিম খান এক জন সাধারণ মানুষ। তিনি উচ্চশিক্ষিত নন। কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিও নন তিনি। পুত্রকে হারিয়ে মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তবে আইনের প্রতি তাঁর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’

যদিও বিকাশের কথায় চিঁড়ে ভেজেনি। বরঞ্চ বিচারপতি স্ফ জানিয়ে দেন্ম ‘মামলাকারীর মন্তব্য আদালত অবমাননার সামিল। যে আদালতের কাছে বিচার চাইতে এসেছেন, সেই আদালতেরই অবমাননা করেছেন।’ বিচারপতি রাজশেখর মান্থা মামলা থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন এইরকম পরিস্থিতি যখন তৈরি হয়ে গিয়েছে তখন সব কিছু সামাল দিতে মাঠে নামেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট বা এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। কার্যত তাঁর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি বদলায়। তিনি বিচারপতিকে বলেন, ‘মামলাকারী কাছে আদালত অবমাননা বা সেই রকম মন্তব্য আশা করা যায় না ঠিকই, কিন্তু দয়া করে আপনি মামলাটি ছেড়ে দেবেন না।’ সরকারি আইনজীবী অনুরোধেই এর পর মামলাটি শুনতে রাজি হন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তবে জানিয়ে দেন, সালেমকে হলফনামা দিয়ে আদালতের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে তাঁর মন্তব্যের জন্য। আগামী সোমবার পুনরায় মামলার শুনানি। সেদিনই হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে সেলিম খানকে। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, সিট তাঁদের তদন্ত শেষ করেছে। আনিস খানের ফোনের ফরেন্সিক রিপোর্টও হয়দরাবাদ থেকে চলে এসেছে। যে রিপোর্ট এদিন সিটের তরফে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে সেই রিপোর্ট যাতে গোপন থাকে সেই অনুরোধও করা হয়েছে সিটের তরফে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চাইলে বিজেপির ভাণ্ডারকে উপড়ে ফেলতে হবে’, বার্তা মমতার

কী কাণ্ড! প্রচারে বেরিয়ে গাড়ি থেকে কাঞ্চনকে নামিয়ে দিলেন কল্যাণ

রাজবংশী ভোট উদ্বেগে রাখছে পদ্মশিবিরকে, ভাবাচ্ছেন অনন্ত মহারাজ

২ বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে উল্টে গেল টোটো, নিহত ৩ যুবক, আহত ২ যাত্রী

ভোটের আগেই ভিন্ন চিত্র , বিজেপি কর্মীর বাড়িতে  মধ্যাহ্নভোজন সারলেন তৃণমূল বিধায়ক

উজ্জলা যোজনা প্রকল্পের গ্রাহকদের ঘিরে সংশয়ে বিজেপি নেতৃত্বই

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর