27ºc, Haze
Saturday, 13th August, 2022 11:08 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: বড় আশা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি(BJP)। চেয়েছিল পুনর্নির্বাচন। কিন্তু সেই দাবি খারিজ করে দিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। আর্জি ছিল গণনার ওপর স্থগিতাদেশেরও। কিন্তু তাও খারিজ হয়েছে এদিন। আর তার জেরে ধাক্কা খেল অধিকারীরাও। নজরে কাঁথি পুরসভা। প্রায় ৩৬ বছর পরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম মহকুমা শহর কাঁথিতে(Contai) এবারে পুরসভার নির্বাচনে প্রার্থী হননি অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্য। আরও বলা ভাল বিজেপির তরফে এবারে অধিকারী পরিবারের কাউকে প্রার্থী করা হয়নি। যদিও কাঁথিতে যাতে বিজেপি জেতে তার জন্য শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) যেমন প্রচার করেছেন, তেমনি সেখানকার নির্বাচনে দলকে পরিচালনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সৌম্যেন্দু অধিকারীকে। সেই সঙ্গে শিশির অধিকারীও বাড়িতে বসে ফোন করে করে কাঁথির বাসিন্দাদের ‘শুভেন্দুর প্রার্থীদের’ জেতাবার আবেদন জানান। কিন্তু ভোটের দিনে তৃণমূলের দাপটের মুখেই বেশ বোঝা গিয়েছে যে এবার কাঁথি পুরসভাতেও ধাক্কা খেতে চলেছেন অধিকারীরা।
নির্বাচনের পরে পরেই বিজেপির তরফে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। দাবি ছিল কাঁথি পুরসভার নির্বাচন বাতিল করে আবারও ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করা হোক। কেননা তাঁদের দাবি, গত রবিবার কাঁথিতে কার্যত ভোটলুঠ হয়েছে। কিন্তু এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। আর তাতেই ধাক্কা খেল বিজেপি ও অধিকারীরা। এমনিতেই শুভেন্দু তৃণমূল ছাড়ার পর থেকেই জেলায় প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছিল অধিকারীদের আধিপত্যবাদ। এরপর সময় যত গড়িয়েছে ততই শুভেন্দু সহ অধিকারীদের ডানা ছাঁটার কাজ করে গিয়েছে শাসক দল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি হারার পর থেকে অধিকারীরা জেলার রাজনীতি থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রেই চূড়ান্ত কোনঠাসা হয়ে পড়তে শুরু করেছেন। এই অবস্থায় কার্যত কাঁথি পুরসভার নিয়ন্ত্রণ তাঁরা আপ্রাণ ভাবে নিজেদের দখলে রাখার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সেই চেষ্টাও জোরদার ভাবে ধাক্কা খেয়ে গেল। এবার কার্যত নিজেদের গড়, খাসতালুক ও শহরে চূড়ান্তভাবে কোনঠাসা, একঘঘরে হয়ে পড়তে চলেছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে হাত থেকে সমস্ত ক্ষমতাও বেড়িয়ে যাচ্ছে। যার জেরে তলানিতে ঠেকবে তাঁদের প্রভাবও।