এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ধর্ষণ ও পকসো আইনের অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ হাইকোর্টের

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: একটি ধর্ষণের মামলার শুনানিতে ধর্ষণ ও পকসো আইনের(POCSO Act) অপব্যবহার করা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস এবং বিচারপতির পার্থসারথি সেন ডিভিশন বেঞ্চ। এই ধরনের বিষয় নিয়ে আগেই দেশের একাধিক হাইকোর্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। এবার ব্যক্তিগত সুবিধার্থে ধর্ষণ বা পকসোর মতো আইনকে অপব্যবহার করা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্টও। যে মামলার জেরে এই উদ্বেগ প্রকাশ তা হাওড়া(Howrah) জেলার উলুবেড়িয়ার(Uluberia) একটি ধর্ষণের মামলা। সেই মামলায় এক গৃহবধূ তাঁর ভাশুর ও ননদের স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। ননদের বিরুদ্ধেও তিনি ধর্ষণে সাহায্য করার অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই মামলায় ওই ৩জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরে জামিনের আর্জি জানিয়ে তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই সংক্রান্ত মামলাতেই উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যের উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের।

মামলাকারীদের হয়ে ওই মামলায় সাওয়াল করেন আইনজীবী কল্লোল মণ্ডল। তিনি দাবি করেন, মিথ্যে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে তাঁর ৩ মক্কেলের বিরুদ্ধে। শ্বশুরের সম্পত্তি দখল করার জন্যই স্বামীর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছিলেন অভিযোগকারীনি। এমনকী গৃহবধূর অভিযোগে নানা অসঙ্গতির কথাও আদালতের সামনে তুলে ধরেন তিনি। মহিলার অভিযোগ, সম্পত্তি নিয়ে তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। এর মধ্যে সম্পত্তি বিবাদ মেটানোর জন্য ওই মহিলাকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে পাঠানো হয়। তখনই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। আইনজীবীর প্রশ্ন, ওই মহিলা সম্পত্তির অংশীদার নন, তাঁর স্বামীর ভাগ আছে। তাহলে কেন তাকে আলোচনার জন্য ডেকে পাঠানো হল? এরপরেই অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন জানান তিনি।

শুনানি শেষে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস এবং বিচারপতির পার্থসারথি সেন ডিভিশন বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করে। একই সঙ্গে আইনের অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ওই মামলায় বেঞ্চের মন্তব্য, ‘এই ধরনের আইনের অপব্যবহার সমাজের প্রতি শুভলক্ষণ নয়।’ বস্তুত আদালতের মন্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন হাইকোর্টের আইনজীবীদের বড় অংশই। তাঁদের দাবি, এখন অনেক মহিলাই কোনও বিবাদের প্রতিশোধ নিতে ধর্ষণ এবং পকসোর মতো আইনের অপব্যবহার করছেন। অথচ মহিলা ও শিশুদের সুরক্ষার জন্য এই আইন তৈরি হয়েছিল। এই ধরনের আইনের অপব্যবহার হলে সে ক্ষেত্রে প্রকৃত নির্যাতিতারা বঞ্চিত হবেন। তারা প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্রের বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, তদন্তে পুলিশ

মমতা-অভিষেকের সভায় মহিলাদের ঢল, ঘুম কেড়েছে বিজেপির

ভোটের ডিউটি করতে এসে মালদায় মৃত্যু পুলিশ কর্মীর

প্রকাশিত হল ICSE এবং ISC পরীক্ষার ফলাফল,রাজ্যে বাড়ল পাশের হার

অভিষেকের সভার আগেই হুগলির পান্ডুয়ায় বোমা বিস্ফোরণ, নিহত ১ কিশোর  

বীরভূমের পুনরাবৃত্তি হতে পারে ঝাড়গ্রামেও, সঙ্কটে বিজেপি প্রার্থী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর