নিজস্ব প্রতিনিধি: অগ্নিপথ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে চাকরি প্রার্থীরা। তার আঁচ থেকে বাদ যায়নি বাংলা। এবার এই বিক্ষোভের প্রভাব পড়ল ট্রেন চলাচলে। বিক্ষোভের জেরে অন্তত ২০০টি ট্রেনে প্রভাব পড়েছে। মালদহ জেলায়ও বিক্ষোভের জেরে আটকে পড়ে ট্রেন।
অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতা করে বহু ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দিতেও দেখা গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের। রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, তেলেঙ্গানায় ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। আর তার জেরে সব মিলিয়ে সারা দেশে ২০০টি ট্রেনের চলাচলে প্রভাব পড়েছে। ইতিমধ্যে বাতিল করতে হয়েছে ৩৫টি ট্রেন। যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে ১৩টি ট্রেনের। বাতিল করা হয়েছে যে ট্রেনগুলিকে সেগুলির মধ্যে রয়েছে, হাওড়া-দিল্লি দুরন্ত এক্সপ্রেস (Howrah-Delhi Duronto Express), কলকাতা-জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেস। সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে(Schedule Change) পূর্বা এক্সপ্রেস, ব্ল্যাক ডায়মন্ড, জয়নগর হাওড়া এক্সপ্রেসের।
উল্লেখ্য ভারত সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ দেশের একাধিক রাজ্য। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। বিহার, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশে ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। সেই আঁচ ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে বাংলায়। বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন চাকরি প্রার্থীরা। শুক্রবার সকালে চাকরি প্রার্থীরা প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঠাকুরনগর রেল স্টেশনে অবরোধ করে।
প্রসঙ্গত মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং অগ্নিপথ প্রকল্পের সূচনা করেন। এই প্রকল্পের অধীনে সাড়ে ১৭ থেকে ২১ বছরের ভারতীয় তরুণ-তরুণীদের চার বছরের জন্য সেনা বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়। এর পর থেকে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ সংগঠিত করতে শুরু করেন চাকরি প্রার্থীরা। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, বছরে ৪৫ হাজার তরুণ-তরুণীকে নেওয়া হবে অগ্নিপথ প্রকল্পে। চার বছরের মেয়াদ শেষ হলে ২৫ শতাংশ সেনাকে সরাসরি সেনা বাহিনীতে স্থায়ী পদে নিয়োগ করা হবে। বাকি ৭৫ শতাংশকে ছাঁটাই করা হবে। যদিও তাদের এককালীন আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। তবে পেনশনের কোনও সুবিধা মিলবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।