নিজস্ব প্রতিনিধি: গরুপাচার(Cattle Smuggling) কাণ্ডে তদন্তে নেমেছে সিবিআই(CBI)। সেই সূত্রেই তাঁদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mondol)। শুক্রবার বীরভূম জেলার বোলপুরে থাকা অনুব্রতের ভোলে ব্যোম রাইস মিলে তল্লাশি চালিয়ে সিবিআই বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে। আর সেই সব নথি দেখে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর আধিকারিকদের ধারনা গরু পাচারের টাকা পাচার হয়েছে নেপালে(Nepal)। সেই টাকা সেখানকার এক মেডিকেল কলেজে বিনিয়োগও হয়েছে। অর্থাৎ এই গরু পাচার চক্র শুধু যে বাংলার বুকে কেন্দ্রীভূত তাই নয়, তার শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপালের মতো প্রতিবেশী দেশেও। অর্থাৎ গরু পাচারের ব্যবসার পিছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক পাচার চক্রও।
সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে, গরু পাচারের টাকা দেশের সীমান্ত পার করে চলে গিয়েছে নেপালের বাজারে। সেই টাকা আবার বিনিয়োগ হয়েছে সেখানকার এক মেডিকেল কলেজ নির্মাণে। নেপালের ভরতপুরে ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চিতওয়ান মেডিকেল কলেজ তৈরিতে ওই টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। সেই টাকা কীভাবে উদ্ধার হবে তা নিয়ে এখন বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সিবিআই আধিকারিকেরা। একই সঙ্গে তাঁরা এটাও জানতে পেরেছেন এই টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও জেলারই এক প্রভাবশালী নেতা যিনি বাংলার শাসক দলের জনপ্রতিনিধিও। তাঁর দাদার সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের কার্যত আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক। কিন্তু ভাই কেষ্ট ঘনিষ্ঠ। সেই ভাইয়ের মারফত কেষ্ট গরু পাচারের টাকা পাঠিয়েছেন নেপালে, এমনটাই দাবি সিবিআই আধিকারিকদের। খুব শীঘ্রই ওই নেতাকে জেরা করার জন্য ডাকতে পারে সিবিআই, সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। এমনকি প্রয়োজনে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পথে হাঁটতে পারেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর আধিকারিকেরা।