নিজস্ব প্রতিনিধি,চাঁচল: ডাকাতির আগেই ছক বানচাল।বছর শেষে মালদহের চাঁচল থানা পুলিশের বড়সড় সাফল্য। গোপন সূত্রে ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৯ জনের ডাকাতদলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।বুধবার মাঝরাতে বিহার সীমান্তবর্তী চাঁচলের মায়াপুরে(Mayapur) একটি আমবাগানে অভিযান চালায় পুলিশ। বাকিরা পালিয়ে গেলেও নয়জন খপ্পরে আসে।তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে হাসুয়া,রড,দড়ি ও লঙ্কার গুড়ো।
নয়জন ধৃতের মধ্যে রাহানুল আলি,মহম্মদ তৈয়ব, ফিরোজ আলম ও আলতাব হোসেন কুখ্যাত বলে পুলিশের দাবি।বৃহস্পতিবার সকলকেই আদালতে পেশ করা হয়।তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এই চারজন কুখ্যাতকে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ।পুলিসের দাবি তারা ডাকাতি করার উদ্দেশ্য নিয়েই সেখানো জড়ো হয়েছিল।পুলিশের সাফল্য মিললেও এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।বাংলা বিহার সীমান্ত এলাকায় জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবি উঠেছে।ধৃতরা মধ্যে আটজন বিহার এলাকার বাসিন্দা ও একজন হাসিরুল হক উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ এলাকার বাসিন্দা।উত্তর দিনাজপুর(Uttar Dinajpur) এলাকায় ডাকাতি করার ছক কষেছিল বলে পুলিশের অনুমান।
অন্যদিকে,বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই পাঁচটি বাড়ি। যার জেরে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো এলাকা জুড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার রায়পুর গ্রামে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাতে আগুন লাগে স্থানীয় বাসিন্দা অখিল মন্ডলের বাড়িতে। পরবর্তীতে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় অন্যান্যদের বাড়ি ও গবাদি পশুগুলোর। পাশাপাশি বাড়িতে থাকা সমস্ত সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে যায়। যদিও ঘটনার সময় বাড়ির মালিক অখিল মন্ডল ও তার পরিবারের কেউই বাড়িতে ছিলেন না। তারা পাশ্ববর্তী গ্রামে মেলা দেখতে গিয়েছিলেন।এছাড়াও প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, ঘটনার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা যে যার মতো করে আগুন নেভানোর যথারীতি চেষ্টা করেন কিন্তু বিধ্বংসী আগুনের কাছে সকলেই হার মেনে যায়।এছাড়াও স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনার দুই ঘন্টা পেড়িয়ে গেলেও দমকল বাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেনি। পরবর্তীতে স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের তৎপড়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তারপর দমকল বাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন বলে অভিযোগ।