নিজস্ব প্রতিনিধি: পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল(Asansol) পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র ও জেলার পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির(Jitendra Tiwari) স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারী(Chaitali Tiwari) স্বামীর বিড়ম্বনা অনেকটাই বাড়িয়ে দিলেন। এমনিতেই জিতেন্দ্র এখন বিজেপিতে(BJP) অনেকটাই কোণঠাসা। জিতেন্দ্র নিজে এমন বেশ কিছু কথা বলেছেন যা দেখে মনে করা হচ্ছিল খুব শীঘ্রই তিনি হয়তো তৃণমূলে(TMC) ফিরে আসবেন। যদিও এখনও পর্যন্ত সেই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু এবার সেই জায়গায় তাঁর স্ত্রী এমন একটি ঘটনা ঘটিয়ে দিলেন যাতে জিতেন্দ্র’র তৃণমূলে ফেরা কিছুটা হলেও সমস্যাবহুল হয়ে উঠল। জিতেন্দ্র ঘরণীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আসানসোল পুরনিগমের একটি বোরো কার্যালয়ে ঢুকে এক ইঞ্জিনিয়ারকে ‘চেয়ার থেকে সরিয়ে’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমেও বেশ ভাইরাল হয়েছে।
আসানসোল পুরনিগম এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যার জেরেই শনিবার পানীয় জলের দাবিতে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিল বিজেপির কর্মীরা। নেতৃত্বে ছিলেন চৈতালি। বিজেপির এই কর্মসূচির স্মারকলিপি নেন জল দফতরের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অভিজিৎ অধিকারী। অভিযোগ, দু’পক্ষের আলাপ আলোচনা চলাকালীন উত্তেজিত হয়ে ওঠেন চৈতালি। সেই সময়েই তিনি আঙুল উঁচিয়ে অভিজিতের উদ্দেশে বলেন, ‘মেয়রের চামচাবাজি করতে গেলে ১৫ দিনের মধ্যে চেয়ার থেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখি।’ সেই ঘটনা নিয়েই সরব হয় তৃণমূল। নানান মহলে চৈতালির হুমকি নিয়ে তীব্র সমালোচনাও শুরু হয়। যদিও পরে চৈতালি সেই ঘটনায় নিজের পক্ষে সাফাই দিয়ে জানান, ‘সাধারণ মানুষ রোদে দাঁড়িয়ে জলের দাবিতে বিক্ষোভ জানাচ্ছেন। আর ওই আধিকারিক কথা ঘুরিয়ে বার বার বলছেন এটা আগের বোর্ডের কথা। আগের বোর্ডের দায়িত্বে ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাই কি এই রাগ?’
ঘটনার জেরে হেনস্থার মুখে পড়া অভিজিৎ অধিকারী জানিয়েছেন, ‘স্মারকলিপি জমা দিতে এসে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই কী উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছে, তা ভুলে যায়। চিৎকার চেঁচামেচি করে হাওয়া গরম করে। কোনও দিন আমি স্মারকলিপি জমা নিইনি। তবে অনেক জায়গাতেই আমাকে নিগ্রহ করা হয়েছে। এটা নতুন কিছু নয়।’ বিজেপির এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। আসানসোল পুরসভার চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘বিজেপি যদি পুরকর্মীদের এ ভাবে বিব্রত করে, তা হলে পুরনিগমের কাজ করতে সমস্যা হবে।’