এই মুহূর্তে




জোকার আবাসনে জগদ্ধাত্রী পুজোয় উঠে এল এক টুকরো চন্দননগর

নিজস্ব প্রতিনিধি: জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে একটি পুরাণের কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। মনে করা হয়, মহিষাসুর বধের পর দেবতারা অত্যন্ত উল্লাসিত হয়ে ওঠেন। তাঁরা ভাবতে শুরু করেন যেহেতু দেবী দুর্গা তাঁদেরই সম্মিলিত রূপের প্রকাশ, তাই মহিষাসুর বধ দেবতাদেরই কীর্তি। ব্রহ্মার বরের জন্য প্রয়োজন ছিল একটি নারীদেহের, সেই নারীদেহটুকুই দিয়েছেন মহামায়া। একথা কানে যায় উমার। তিনি তখন দেবতাদের অহং চূর্ণ করতে এবং শক্তি পরীক্ষার জন্য একটি তৃণ খণ্ড ছুড়ে দেন। ইন্দ্র-বায়ু-অগ্নি-বরুণ দেব কেউই সেই তৃণখণ্ড আটকাতে পারেননি। তখন তাদের সামনে আবির্ভূতা হন স্বয়ং জগদ্ধাত্রী। তিনি প্রশ্ন করেন, যে দেবতারা একজন একটি সামান্য তৃণ খণ্ডকে সরাতে পারেন না তাঁরা কিভাবে মহিষাসুরের মতো অসুর বধ করতে পারেন। এভাবেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন সারা পৃথিবীকে যিনি ধারণ করে রয়েছেন তিনিই জগদ্ধাত্রী।

উমা গিয়ে এসে ছিলেন শ্যামা। তাঁর আরাধনা মানেই চারদিকে আলো আর আলো। তাই দীপাবলির আলো ফিকে হওয়ার আগেই দক্ষিণ কলকাতার জোকায় ডি.টি.সি সাউদার্ন হাইটস আবাসনে জগদ্ধাত্রী পুজোয় দেখা মিলল এক টুকরো চন্দননগরের। এ’বছর প্রথমবারের মতো এই আবাসনে আয়োজন করা হয়েছে জগদ্ধাত্রী পুজোর। এই আবাসনের পুজোর মূল ভাবনা ‘সনাতন সংস্কৃতি’। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার অনন্য মেলবন্ধনে গড়ে উঠেছে এই পুজো মণ্ডপ। যেন ছোট্ট চন্দননগর নেমে এসেছে দক্ষিণ কলকাতার এই আবাসনে।

আবাসনের প্রায় ১৩০০ ফ্ল্যাট ও সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে একত্রিত করে এই পুজোর আয়োজন করেছে ডি.টি.সি সাউদার্ন হাইটস কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। পুজো কমিটির প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন পুলক কুমার মুখোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, “আমাদের উদ্দেশ্য হল সনাতন ধর্মের রীতি মেনে পুজো করা। পাশাপাশি চন্দননগরের ঐতিহ্যকে এই আবাসনের মানুষের সামনে তুলে ধরা।”

মণ্ডপের ভাবনা ও নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন পুজো কমিটির সদস্য সলিল কুমার দাস। তাঁর নকশা ও তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছে মনমুগ্ধকর প্যান্ডেল, যা আলো, রঙ ও শৈল্পিকতায় যেন হুবহু চন্দননগরের স্মৃতি উস্কে দিয়েছে। পুজো পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সদস্যদের মধ্যে অন্যতম অঙ্কুর রায় এবং নুপুর ভট্টাচার্য। দুজনেই ব্যস্ত সঠিকভাবে পুজো পরিচালনা নিয়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এই প্রথম বছরের পুজোতেই এমন সাড়া পড়েছে যে আগামী বছর আরও বড় পরিসরে জগদ্ধাত্রী আরাধনার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে এখন থেকেই।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

Auto Draft

SIR ফর্ম বিলির ক্ষেত্রে কলকাতা পিছিয়ে, দ্রুত কাজ শেষ করতে সময়সীমা নির্ধারিত করল কমিশন

বনগাঁয় সন্দেহজনক ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে এল মৃত মানুষের মাথার খুলি ও হাড়গোড়

চার বছর আগে চলে যাওয়া গৃহবধূ ভোটার কার্ডের খোঁজে প্রাক্তন স্বামীর বাড়িতে, তারপর…

৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর জলাশয়ে ভাসল শিশুকন্যার দেহ, শোকের ছায়া গ্রামে

‘ভোটে লড়ার জন্য টিকিট চাইনি’, ফের সরব দিলীপ ঘোষ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ