নিজস্ব প্রতিনিধি: মঙ্গলবার সকালেই চমকে যান তদন্তকারী অফিসাররা। হুগলির গোবরার কাছে ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হয় মূল অভিযুক্ত শ্রীকান্তের। নিজের হাতে গোটা পরিবারের সদ্যসদের খুন করে আত্মহত্যা করেছেন শ্রীকান্ত অনুমান পুলিশের। তবে এই ঘটনার পিছনে অন্য কারণ রয়েছে কিনা খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
হুগলির চণ্ডীতলার বাসিন্দা সঞ্জয় ঘোষ, তাঁর স্ত্রী মিতালী ও মেয়ে শিল্পা খুন হন সোমবারই। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই সম্পত্তি নিয়ে খুড়তুতো ভাই শ্রীকান্তর সঙ্গে অশান্তি চলছিল সঞ্জয়বাবুর। একাধিকবার তা চরম আকার নেয়। অশান্তি মেটাতে সালিশি সভার আয়োজনও করা হয়েছিল। তাতে সাময়িক সমস্যা মিটলেও পরবর্তীতে নতুন করে ফের অশান্তি বাঁধে তাঁদের মধ্যে। নিজের দাদা-বৌদিদের খুন করে পালিয়ে যান শ্রীকান্ত। পুলিশ খোঁজ শুরু করতেই মঙ্গলবার সকালে মৃতদেহ উদ্ধার হয় শ্রীকান্তের। জানা গিয়েছে, হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনের গোবরাতে কামারকুণ্ডু স্টেশনের কাছে রেললাইনের উপর থেকে শ্রীকান্ত খণ্ডবিখণ্ড দেহ উদ্ধার করে জিআরপি। প্রথমে শনাক্ত করা যায়নি দেহ। পরবর্তীতে শ্রীকান্তের দেহ চিনতে পারে পুলিশ।
গত সোমবারই সঞ্জয় বাবুর প্রতিবেশীরা জানিয়েছিলেন, সদ্য মুম্বই থেকে শ্রীকান্ত ফিরেছিল কিন্তু কারোর সঙ্গে মেলামেশা করত না। অবসাদে ভুগত। তাই পুলিশের অনুমান রাগের বসে দাদা-বৌদিকে খুন করে অপমানে আত্মহত্যা করেছেন শ্রীকান্ত। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।