নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ ফিরিয়েছে শীত, কিন্তু তাতে বাঙালির বড়দিন পালনে পড়েনি ছেদ। শনিবার সকাল থেকেই কলকাতা থেকে জেলা সবজায়গায় নেমেছে মানুষের ঢল। কলকাতায় যেমন ভিক্টোরিয়া। বিভিন্ন পার্ক, বিড়লা তারামণ্ডল, চিড়িয়াখানা, ইকো পার্ক, নিকো পার্কে ভিড় জমিয়েছে বাঙালি, তেমনই দিঘা, সুন্দরবন ও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ভিড় বাড়ছে। বড়দিনকে স্বাগত জানাতে রাস্তায় হাজির আট থেকে আশি। খাওয়া-দাওয়া, হই হুল্লোড়, সিনেমা দেখা সবই চলছে। এমনকি শহর কিংবা রাজ্যের বিভিন্ন চার্চেও ভিড় জমিয়েছে রাজ্যের মানুষেরা। বড়দিনের সন্ধেতে অবশ্য বাঙালির ডেস্টিনেশন হবে পার্ক স্টিট কিংবা বো বারাকের। দু’দিন আগেই আলোর রোশনাইয়ে দিয়ে ঢাকা হয়েছে পার্ক স্ট্রিট।
বড়দিন দিয়েই শুরু হবে বর্ষবরণের সপ্তাহ। জাঁকিয়ে শীত না পড়লেও করোনার মাঝেই বর্ষবরণে মাততে গা ভাসিয়েছে আপামর বাঙালি। করোনা সংক্রমণকে উপেক্ষা করে মানুষ সকালেই হাজির হয়েছেন বেলুড় মঠেও। ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত শিথিল করা হচ্ছে রাজ্যের কোভিডবিধি। থাকবে না রাত্রিকালীন কার্ফু। তাই বিনা বাধায় হুল্লোড়ে মেতেছে বঙ্গবাসী। উৎসবের মেজাজের কথা মাথায় রেখেই ২৪, ২৫ , ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি সরকারের তরফে নাইট বাস সার্ভিস চালু রাখা হয়েছে। মূলত পার্ক স্ট্রিট, রবীন্দ্র সদন ও ধর্মতলা এলাকার আশপাশে থেকেই মিলবে বাস। সেখান থেকে শহরের উত্তর ও দক্ষিণপ্রান্ত এবং শহরতলি এলাকায় পৌঁছে যাওয়া যাবে। এসি ও নন-এসি দু’ধরনের বাস-ই মিলবে রাস্তায়। আজ থেকে বাড়ছে মেট্রোর সংখ্য়াও। ফলে শনিবার ৭ মিনিট অন্তর মিলবে মেট্রো।
গতকাল রাত থেকেই শহরের সেন্ট পলস, ক্যাথিড্রাল চার্চে মোমবাতি নিয়ে যীশু বন্দনায় হাজির ছিল আমবাঙালি। পাশাপাশি দিঘা, মন্দারমণির মত সমুদ্র সৈকত এলাকাতে ভিড় জমিয়েছে পর্যটকেরা। পিকনিক ও ফেস্টিভ মুডেই বড়দিন কাটাতে চাইছে বঙ্গবাসী।