নিজস্ব প্রতিনিধি: মিজোরামে পাথর খাদানে কাজে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বাংলার ৫ যুবকের। তার মধ্যে ৪ জনের বাড়ি নদিয়া জেলায়। শোকের আবহে দেহ ফিরে পাওয়ার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছে মৃতদের পরিবার। মৃত যুবকদের দেহ মিজোরাম থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য ইতিমধ্যে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার শ্রমিকদের দেহ রাজ্যে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
সোমবার মিজোরামে পাথর খাদানে ধসে মৃত্যু হওয়া নদিয়া জেলার ৪ যুবকের নাম যথাক্রমে রাকেশ বিশ্বাস, মিন্টু মণ্ডল ও বুদ্ধদেব মণ্ডল এবং মদন দাস। প্রথম তিন যুবক নদিয়ার তেহট্টের কালীতলা পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। মদন দাসের বাড়ি চাপড়ার পিবরাইগাছি গ্রামে। চুক্তিভিত্তিক কাজে রাজ্য থেকে ওই যুবকরা মিজোরামের পাথর খাদানে কাজ করতে গিয়েছিলেন। এমন মর্মান্তিক ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তে মৃতদের বাড়িতে আসেন স্থানীয় বিডিও, এসডিও ও জেলা পুলিশের কর্তারা। মৃত যুবকদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, সোমবার মিজোরামের আইজল থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে হাথাইয়াল জেলার মুদরা গ্রামের পাথার খাদানে আচমকা ধস নেমে চাপা পড়েন ১২ শ্রমিক। এদের মধ্যে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ একজন। বিএসএফ, অসম রাইফেলস, মিজোরাম পুলিশ এবং এনডিআরএফ টিম ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর মৃত যুবকদের পরিবারে পৌঁছতে কান্নার রোল ওঠে। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী শোকপ্রকাশ করে টুইটে লেখেন, ‘মিজোরামে খনি ধসে রাজ্যের ৫ জন সহ মোট ১২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় আমি গভীরভাবে ব্যথিত।’ তিনি জানান মৃত যুবকদের দেহ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। একইসঙ্গে পরিবারগুলিকে সহায়তার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান লেখেন, ‘আমরা মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার জন্য মিজোরাম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছি এবং পরিবারগুলিকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছি। যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে তাদের প্রতি আমার সমবেদনা।’