নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে। বিজেপি কর্মীদের গাড়ি আটকানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। শনিবার ভূপতিনগর থানার কাছে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর অবস্থান কর্মসূচি রয়েছে। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিত যাওয়া বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের গাড়ি আটকানোর অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিজেপির ভূপতিনগর থানা ঘেরাও কর্মসূচি রয়েছে। সেই কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় গণ্ডগোলের সূচনা হয়। বিজেপি কর্মীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। তাঁদের হাতে দেখা যায় বাঁশ লাঠি। উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় মারামারিতে জখম হন বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী সমর্থক। ঘটনার জেরে আহত হয়েছেন অন্তত ৪ জন। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মারধর করেছে। অন্যদিকে বিজেপি কর্মীরা শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে গেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের মাধাখালি ব্রিজের কাছে দু’পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে কটূক্তি করে। এর প্রতিবাদ জানায় তারা। এর পর পদ্ম শিবিরের কর্মীরা তৃণমূল কর্মীদের ওপর চড়াও হয়। বাঁশ লাঠি নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি পুলিশ কর্মীদের ওপরও হামলা করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বিজেপি কর্মীরা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শাসকদলের কর্মীদের ওপর দায় চাপিয়েছে গেরুয়া শিবির। উত্তেজনার পর ওই এলাকায় টহল দিচ্ছে বিশাল পুলিশবাহিনী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনা নিয়ে বলে, ভূপতিনগরের যা পরিস্থিতি রয়েছে, তাতে এখানে আধা সামরিক বাহিনীর ক্যাম্প করতে হবে। সেজন্য আমরা আদালতে যাব। ভোট পরবর্তী হিংসায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ভূপতিনগর এলাকা।’