নিজস্ব প্রতিনিধি: সীমান্তে বিএসএফের (BSF) গুলি চালনা নিয়ে এবার সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) সভা থেকে কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) বলেন, বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্র সরকার প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে। কিন্তু সীমান্তে ‘বিএসএফ গুলি করে মারলে, ক’টা টিম আসে?’
বৃহস্পতিবার কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুরে যখন বিএসএফ গুলি চালায়, তখন তোমরা যখন কটা টিম পাঠাও?’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চকোলেট বম্ব ফাটলেও এনআইএ(NIA) আসে। উইপোকা কামড়ালেও দিল্লির টিম আসছে। বিএসএফ গুলি করে মারলে, ক’টা টিম আসে?’
প্রসঙ্গত ২০২২ সালে কেবলমাত্র কোচবিহারেই বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে পাঁচ বার গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সেই গুলিতে একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও সামনে এসেছে। গত বছরের ১৭ মার্চ কোচবিহারেরই মাথাভাঙায় বিএসএফ-এর গুলিতে একজনের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। এর পর ১০ এপ্রিল কোচবিহারের সিতাইয়ে বিএসএফ-এর গুলি চালানোর ঘটনা সামনে আসে। তাতে তিন জনের মৃত্যু হয়। কাঁটাতার পেরিয়ে তাঁরা গরুপাচারের চেষ্টা করছিলেন বলে বিএসএফ-এর তরফে দাবি করা হয়। এরপর গত ১৪ ডিসেম্বর কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে বিএসএফ-এর গুলিতে দু’জনের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনাতেও পাচারের অভিযোগ করে বিএসএফ।
সেই ঘটনার পর ১৫ ডিসেম্বর আবার কোচবিহারের মাথাভাঙায় বিএসএফ-এর গুলিতে একজনের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। নিহত ব্যক্তি পাচারের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করেছিল বিএসএফ। এরপর গত ২৪ ডিসেম্বর সকালে কোচবিহারের গীতালদহের ঘোষপাড়ায়, বিএসএফ-এর গুলিতে মৃত্যু হয় ২৪ বছরের প্রেম বর্মনের। যদিও বিএসএফের গুলি চালনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, বিএসএফ সাধারণ মানুষকেও হেনস্থা করে। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা অভিযোগ করেছিলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফ এর ভয়ে সন্ধ্যায় সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বাইরে বেরোতে পারেন না। এবার বিএসএফের গুলি চালনা নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।