নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব মেদিনীপুর: এর আগেও দিঘায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বহুবার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন দিঘাতেও পুরীর ধাঁচে জগন্নাথ মন্দির তৈরি করার। এবার এই খাতে ১২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন তিনি। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই নবান্নে তিনি এই টাকা বরাদ্দের কাগজে সই করেন। পরে কলকাতা পুরভোটের প্রচারে গিয়ে বেহালায় তিনি নিজেই জানালেন এই প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের কথা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমি আজই এ ব্যাপারে অর্থ বরাদ্দ করেছি। আমি চাই পুরীর মতোই জগন্নাথ মন্দির হোক দিঘায়। প্রতিটি সমুদ্রতীরের ধারে একটা মন্দির থাকা উচিৎ।
প্রসঙ্গত, ওল্ড দিঘা ও নিউ দিঘার মাঝে সমুদ্রের ধারে একটি পুরোনো জগন্নাথ মন্দির আছে। ওই এলাকাকে স্থানীয়রা জগন্নাথ ঘাট বলেন। তবে এখানে খুব একটা পর্যটক সমাগম হয় না। বছর দুই আগে মুখ্যমন্ত্রী দিঘা গিয়ে ওই জগন্নাথ মন্দির দেখতে গিয়েছিলেন। তখনই তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এই মন্দির নতুন করে সংস্কার করে পুরীর মন্দিরের ধাঁচে গড়ে তোলার ব্যাপারে। যাতে পর্যটক ও পূণ্য়ার্থীরা পুরীর মতোই এক যাত্রায় দুটি লাভ তুলতে পারেন। দিঘার এই জগন্নাথ মন্দিরটি ছোট হলেও এখানে গঙ্গাপুজো এবং কালীপুজো হয়। সূত্রের খবর, পুরীর মন্দিরের ধাঁচেই তৈরি করা হবে জগন্নাথ মন্দির। বেশ বড় আকারেই তৈরি হবে মন্দিরটি।
পাশাপাশি কালীঘাটে স্কাইওয়াক আলোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বৃহস্পতিবার বেহালায় ভোট প্রচারে তিনি বলেন, কালীঘাটে স্কাই ওয়াক তৈরি হচ্ছে। মোট ২৫০ কোটি টাকার কাজ। দেখবেন হাজরা পার্কে কতগুলো দোকান তৈরি হয়েছে। কালীঘাটে স্কাইওয়াক করব বলে ওখানে যারা দোকানদার ছিল, তাঁদের আপাতত হাজরা পার্কের ভিতরে দোকান দিয়েছি। যখন স্কাইওয়াকটা হয়ে যাবে ওরা সেখানে দোকান পেয়ে যাবে। অপরদিকে দিঘার জগন্নাথ মন্দির প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দিঘায় জগন্নায় মন্দির তৈরি হলে বাইরে থেকে মানুষ দেখতে আসবেন। এখানে পর্যটকরা এলে তাঁরা পুজো দেবেন, নানা জিনিসপত্র কিনবেন। ফলে অর্থের জোগান বাড়বে। যা বাংলাকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করবে বলেও মনে করেন তিনি। সব চেয়ে বড় কথা বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে।