এই মুহূর্তে




খরিফ মরশুমের শেষে ক্ষতিপূরণ, ১১ লক্ষ কৃষককে ১০২ কোটি টাকা

Courtesy - Facebook and Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে পরিবর্তনের পর থেকেই অর্থাৎ ২০১১ সাল থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) বাংলার কৃষকদের(Farmers of Bengal) আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে যেমন কৃষক বন্ধু প্রকল্প(Krishak Bandhu Project) চালু করেছেন তেমনি তাঁদের প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত কারণে শস্যের ক্ষতির মুখ থেকে রেহাই দিতে চালু করেছেন বাংলা শস্য বিমা যোজনা(Bangla Shasya Bima Yojna)। ২০১৯ সালে চালু করা মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্প যেমন দেশেরই একাধিক রাজ্যের কাছে কার্যত মডেল প্রকল্প হয়ে উঠেছে তেমনি এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলার ৮৫ লক্ষ কৃষককে ২,৪০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার আরও একধাপ এগিয়ে রাজ্য সরকার ২০২৩ সালের খরিফ মরশুমের(Kharif Monsson) শেষে ক্ষতিপূরণ বাবদ বাংলা শস্য বিমা যোজনার অধীনে থাকা বাংলার ১১ লক্ষ কৃষককে ১০২ কোটি টাকা পাঠাতে চলেছে।

রাজ্যের কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং রাজ্যের প্রান্তিক কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে গত ১৩ বছরে একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যে যেমন কৃষক বন্ধু প্রকল্প আছে তেমনি আছে বাংলা শস্য বিমা যোজনাও। আছে কৃষি পরিকাঠামো তহবিলের মাধ্যমে ঋণ প্রদানের বিষয়ও। এদের মধ্যে বাংলা শস্য বিমা যোজনা দেশের একাধিক রাজ্যের কাছে কৃষকদের প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিওত কারণে নষ্ট হওয়া ফসলের ক্ষতিপূরণ প্রদানের ক্ষেত্রে কার্যত মডেল প্রকল্প হয়ে উঠেছে। সেই সব রাজ্যের আধিকারিকেরা বাংলায় এসে এই রাজ্যের প্রকল্প খতিয়ে দেখে নিজ রাজ্যে ফিরে এই প্রকল্পের অনুকরণে নয়া প্রকল্প চালু করেছেন। সব থেকে বড় কথা বাংলা শস্য বিমা যোজনাতে প্রাকৃতিক বা অন্যকোনও কারণে কৃষকদের ফসল নষ্ট হলে এই প্রকল্পের মাধ্যমেই ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার ব্যবস্থাই করেছে তাই নয়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে কোনও কারণে কৃষক চাষ করতে না পারলেও ক্ষতিপূরণ প্রদান নিশ্চিত করা হয়েছে।

সব থেকে বড় কথা এই রাজ্যের বুকে বাংলা শস্য বিমা যোজনার জন্য কৃষকদের হয়ে এই বিমার প্রিমিয়ামের সম্পূর্ণ খরচই বহন করে রাজ্য সরকার। কৃষকদের কাছ থেকে এর জন্য ১ পয়সাও নেওয়া হয় না। তাঁরা বিনামূল্যে এই সুবিধা পান। সেই সূত্রেই, ২০২৩ সালের খরিফ মরশুমের শেষের ক্ষতিপূরণ বাবদ এবার বাংলার ১১ লক্ষ কৃষক ক্ষতিপূরণ পেতে চলেছেন। উপগ্রহের মাধ্যমে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি যাচাই করে তারপর জেলা স্তরে যাচাই প্রক্রিয়া চালিয়ে তবেই এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে, ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নির্ধারিত হয়েছে। সামগ্রিকভাবে এই প্রক্রিয়া একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে আর ক্ষতিপূরণের অঙ্ক দাঁড়াচ্ছে প্রায় ১০২ কোটি টাকায়। ফলে খুব শীঘ্রই কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি এই টাকা ঢুকে যেতে চলেছে।

এই বিষয়ে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে ফসলের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার একটি মডেল হয়ে উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত এই শস্যবিমা প্রকল্প। তাঁরই নেতৃত্বে রাজ্যের কৃষকদের গড় আয় বেড়েছে ৩ গুণ। বাংলা শস্যবিমার মতো প্রকল্পের জন্য কৃষকদের আর বিপাকে পড়তে হয় না। খরিফ মরশুমের শেষের ক্ষতিপূরণ শীঘ্রই তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো নিয়ে এবারও কাজ চলছে জোরকদমে। ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর ২ লক্ষ ৪৬ হাজার কৃষককে বাংলা শস্যবিমার অধীনে ২০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতিপূরণ প্রদান নিশ্চিত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওইদিন তিনি ট্যুইট করে জানান, রাজ্যে বৃষ্টি কম হওয়ায় যাঁরা ধান রোপণ করতে পারেননি তাঁদের এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সেই মতোই এবার টাকা পেতে চলেছেন কৃষকেরা।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বাসন্তী হাইওয়ের ওপর বিপদজনক বিল্ডিং, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও উদাসীনতার অভিযোগ

মালদার তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির জামিনের আর্জি ফের খারিজ

বৃহস্পতিবার থেকে বঙ্গে ধেয়ে আসছে দুর্যোগ,কমলা সর্তকতা জারি কলকাতা সহ একাধিক জেলায়

গৃহবধূকে ধর্ষণে অভিযুক্ত নেতাকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করল তৃণমূল কংগ্রেস

কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী, সন্দেশখালি গ্রামীণ হাসপাতালের উন্নতির জন্য বরাদ্দ হল ৮ কোটি

প্রায় ২২ দিন পর বাগুইআটি বাজারে কালি মন্দিরে চুরির কিনারা করল বিধাননগর পুলিশ

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর