নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়িঃ তিস্তায় জলস্ফীতির জেরে ক্রমশই উদ্বেগ বাড়ছে। নদীর মারণরূপে ভাসতে পারে উত্তরের জেলাগুলিও। পাহাড় থেকে বিপুল পরিমাণ জল নামছে জলপাইগুড়িতে। দুপুর ২টো নাগাদ দোমহনি তিস্তা বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে পারে।সিকিমের বিপর্যয়ের সম্পূর্ণ প্রভাব পড়েছে জলপাইগুড়িতে। তিস্তায় জল বাড়ার জন্য সমস্ত বাঁধের লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে হুড়মুড়িয়ে জল নেমে আসছে জলপাইগুড়িতে।
গাজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে ছাড়া হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ জল। সেচ দপ্তরের সকাল দশটার পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৮২৫২ কিউমেক জল ছাড়া হয়। ফলে প্লাবনের আশঙ্কায় সেচ দপ্তর সকাল ১০.১০ মিনিট নাগাদ দোমহনি থেকে বাংলাদেশগামী তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছে। হলুদ সংকেত জারি সংরক্ষিত এলাকায়।
বিপর্যয়ের ইঙ্গিত পেয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নেমেছে জেলা প্রশাসন। নিচু এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মাইকিং করা হচ্ছে। নন্দনপুর বোয়ালমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহিরচর, নাথুয়ার চর, মৌয়ামারির চর এলাকা থেকে মানুষজনকে সরিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়াও জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিবেকানন্দ পল্লী, সুকান্ত পল্লীতে মাইকিং করে সতর্ক করার প্রক্রিয়া চলছে।জলপাইগুড়ি জেলার সমস্ত স্কুল গুলিকে ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক শ্যামা পারভিন। তিস্তা ব্রিজে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জাতীয় সড়ক কতৃপক্ষ ব্রিজ পরিদর্শন করেছেন।