নিজস্ব প্রতিনিধি: গতকালই প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছিল শান্তিপুর আসনে ভোটে লড়ার কথা। আজ তাতে সিলমোহর দিলেন কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি। এরই সঙ্গে প্রদেশের তরফে পাঠানো নামেও সিলমোহর দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধি। আর সেই সিলমোহরের জোরে শান্তিপুরের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন শ্রী রাজু পাল। আজ রাতেই দিল্লি হাইমকম্যান্ড থেকে গ্রিন সিগন্যাল এসেছে রাজ্য নেতাদের কাছে।
অতএব ত্রিমুখী লড়াইয়ে শান্তিপুরে উপনির্বাচনে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ অক্টোবর। গত বুধবারই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী রাজ্যের সমস্ত নেতৃত্ব ও সংশ্লিষ্ট জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করে ৩০ তারিখের উপনির্বাচন নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে স্পষ্টই জানানো হয়, বামেদের সঙ্গে সমঝোতা ছিল যে আসনে অর্থাৎ দিনহাটা, খড়দা ও গোসাবায় প্রার্থী দেবে না কংগ্রেস। একুশের নির্বাচনের জোটের কথা মাথায় রেখেই শান্তিপুর বাদে বাকি আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবেনি কংগ্রেস। অর্থাৎ কংগ্রেসের তরফে ফের একবার জোটের জন্য রাস্তা খোলা রাখা হয়েছে বামেদের কাছে। যদিও আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের উপনির্বাচন নিয়ে স্পিকটি নট বাম শিবির। এর মাঝেই দিল্লিতে শান্তিপুরের জন্য প্রার্থীর নাম পাঠান অধীর-মান্নানরা। যাতে সিলমোহর দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধি।
একুশের ভোটে ধরাশায়ী রেজাল্ট ও ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো বামেদের প্রার্থীকে কংগ্রেসের তরফে কোনও সমর্থন দেওয়া হয়নি। সেই অভিযোগে জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুলে দেয়। কিন্তু কংগ্রেসের তরফে বারবার সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয় ভবানীপুরের ইস্যু পুরোটাই দিল্লির নির্দেশে হয়েছে। তাই আগামী ৩০ অক্টোবরের উপনির্বাচনে শান্তিপুর বাদে বাকি আসন বামেদের ছেড়ে জোটের ভবিষ্যৎ টিকিয়ে রাখতেই বার্তা দেন অধীর বাবুরা।