নিজস্ব প্রতিনিধি: ভাই তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। কিন্তু রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হওয়ার জন্যই এখনও কংগ্রেসে রয়েছেন। সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থীও বটে, কিন্তু ভোটের দিনই দলবদলের কথা বলে জল্পনা বাড়ালেন জইদুর রহমান। এমনিতেই বিগত কিছুদিন ধরেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক গোটা ভারতেই আলোচনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেটা অসম, ত্রিপুরা কিংবা সদ্য গোয়া। রাজ্যেও মুর্শিদাবাদের কংগ্রেসের ঘাঁটিতে থাবা বসাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ভোটের দিনে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েই তৃণমূলে যাওয়ার কথা বলে জল্পনা বাড়ালেন জইদুর।
তিনি জানিয়েছেন, ‘ভাইয়ের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক। রাজনীতি অন্য জায়গায়। তবে এলাকার মানুষের স্বার্থে তিনি তৃণমূলেও যেতে রাজি। কারণ, তাঁর লড়াই বিশেষ কোনও দলের হয়ে বা বিরুদ্ধে নয়।’ এমনিতেই ভোটের ময়দানে নামতে রাজি ছিলেন না মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের প্রার্থী জইদুর রহমান। বারবারই তিনি জানিয়েছিলেন ব্যবসার ক্ষতি হবে তাই ভোটের ময়দানে যেতে চান না। কিন্তু শেষে দলের চাপে বাধ্য হয়েই প্রচারে নামেন ও ভোটে লড়ছেন জইদুর রহমান।
সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক ওরফে মন্টু বিশ্বাসের করোনায় মৃত্যুতে ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ পিছিয়ে যায়। ভোটের দিন ঠিক হয়েছিল ১৪ মে। কিন্তু ইদ থাকায় ও করোনার বাড়বড়ন্ত থাকায় সেই ভোটের দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। সেই ভোটের জন্য গত ২৬ এপ্রিল মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন জইদুর রহমান। প্রচারও শুরু করেছিলেন। অবশেষে ঠিক হয় ৩০ সেপ্টেম্বর হবে, বৃহস্পতিবার সেই ভোটগ্রহণ পর্ব চলছে। আর এদিনই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আলোড়ন ফেলে দিলেন তিনি।