নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘রক্ষকই ভক্ষক’ মিলে গেল প্রবাদবাক্য। পুলিশকর্মীই নিজের স্ত্রীকে (Wife) লুকিয়ে রেখেছেন দীর্ঘ ১৪ বছর। আর অন্য মহিলার সঙ্গে রয়েছেন অন্যত্র। অন্তত অভিযোগ এমনটাই। আর যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সিআরপিএফের রাঁধুনি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আশায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চুঁচুড়ায়।
অভিযোগ, দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে এক মহিলা ও দুই দুই সন্তানকে নিয়ে চুঁচুড়ার সিংহীবাগানে থাকতেন মনোতোষ দাস নামের ওই পুলিশকর্মী (Police)। আর নদিয়ার শিমুরালিতে তাঁর আসল সংসার। সেখানে রয়েছেন স্ত্রী এবং পুত্র- কন্যা। স্ত্রী’র দাবি, দীর্ঘ ২৯ বছর বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। সেই সাল ১৯৯৩। স্ত্রীর অভিযোগ, বিয়ের পর তাঁর স্বামী (Husband) তাঁর ও পরিবারের সঙ্গে ভালোভাবে যোগাযোগ রেখেছিলেন। ২০০৭- ২০০৮ সাল পর্যন্ত নিয়মিত বাড়িতে আসতেন। এরপর থেকেই হঠাৎ করেই যোগাযোগ কমাতে শুরু করেন। একসময় যোগাযোগ প্রায় বন্ধই করে দেন। সংসারের জন্য বেতনের টাকা পাঠান না, দশ হাজার টাকা করে মাসে পাঠান বলেও দাবি করেন। বলেন, মাঝেমাঝে বাড়ি আসতেন এখন তাও কমিয়েছেন। এও বলেন, কর্তব্য পালন করা তো দূরের কথা। ফোন করেও খোঁজ নেন না। আরও অভিযোগ স্ত্রীর, বাড়িতে এসে স্থানীয়দের পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন।
এদিন, চুঁচুড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন মনোতোষ। তখনই বাড়িতে আসেন স্ত্রী ও সন্তান। চলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি। পাড়ার লোকজন জড়ো করে আক্রমণ করেন হঠাৎ করে ফিরে আসা স্বামীকেও। ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।