নিজস্ব প্রতিনিধি: অগ্রহায়ন মাস শেষ হতে চলেছে। মাঠে মাঠে ধান পেকে গিয়েছিল। কিন্তু সেই পাকা ধানে মই দিল এই অসময়ের বৃষ্টি। চাষিদের দাবি, বহু মাঠে এখনও ধান কাটা হয়নি, কোথাও আবার ধান কেটে মাঠেই রাখা হয়েছিল। ফলে বৃষ্টির জল জমিতে জমে যাওয়ায় ধান নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা চাষিদের। এরসঙ্গেই যে জমিতে শীতকালীন শাক-সবজি রোপণ করা হয়েছিল তাও নষ্ট হতে বসেছে। জাওয়াদের জেরে লাগাতার ও একটানা বৃষ্টিপাতের জেরে মাথায় হাত চাষিদের। সেই সঙ্গে আশঙ্কার কালো মেঘ জমতে শুরু করেছে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মনেও। কারণ বহু চাষের জমিতে জল জমে যাওয়ায় যেমন ধান নষ্ট হয়েছে তেমনই আলু-সহ শীতকালীন ফসল চাষও মার খাচ্ছে। আর এর জেরেই শাক-সবজির দাম আগুন হতে পারে বলেই মনে করছেন ব্যবসায়ীমহল।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিনত হলেও তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলায়। ফলে একটানা বৃষ্টির জন্য ইতিমধ্য়েই চাষের জমিকে জল জমে গিয়েছে। তাতে যেমন ধানের ক্ষতি হয়েছে তেমনই মার খাচ্ছে আলু-সহ শাকসবজির চাষ। দুই ২৪ পরগনা-সহ হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বীরভূমের বিস্তৃর্ণ এলাকায় চাষআবাদের ক্ষতি হয়েছে। হুগলি, বাঁকুড়া, বীরভূমের বহু এলাকায় মাঠ থেকে ধান তুলে প্রায় ২৫ শতাংশ জমিতে আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল। যা প্রায় নষ্ট হতে বসেছে। একই অবস্থা, ফুলকপি, বাধাকপি, পালংশাক, মটরশুটি, টমেটো, পেঁয়াজকলির মতো শীতকালীন ফসলের। তবে রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিয়ান জোগার করার কাজ শুরু হয়েছে। জেলার প্রতিটি ব্লককে ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাঁশকুড়া, ময়না, তমলুক ছাড়াও মাথায় হাত পড়েছে কাটোয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার সবজি চাষিদের।