নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্ধমান সানমার্গ(Burdhwan Sunmarg) চিটফান্ড সংস্থার প্রতারণা মামলায় যিনি মূল কিং পিন, অর্থাৎ, সংস্থার চেয়ারম্যান সৌম্যরূপ ভৌমিক, তিনি প্রথম থেকেই পলাতক। তাঁকে সিবিআই(CBI) গ্রেফতার করতে পারেনি। এবার আসানসোল সিজিএম আদালত(Assansol CGM Court) সৌম্যরূপ ভৌমিকের নামে এই লুক আউট নোটিস(Lookout Notice) জারি করে দিল। এর অর্থ, তাঁকে যেখানেই দেখতে পাওয়া যাবে সেখানেই গ্রেফতার করা যাবে। আদালত যাতে এই ঘোষণা করে সেজন্য আসানসোল আদালতের কাছে এ নিয়ে সিবিআই আগেই আপিল করেছিল। শেষ পর্যন্ত শনিবার আদালত সেই রায় দিল। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হল সৌম্যরূপের ছবি। ইন্টারপোল-সহ দেশের সমস্ত জায়গায় তাঁর ছবি পাঠানোর কাজ শুরু করল সিবিআই। যেভাবেই হোক তাঁকে গ্রেফতার করার উদ্দেশ্যে সিবিআই উঠে পড়ে লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে।
বর্ধমান সানমার্গের বিরুদ্ধে টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন বর্ধমান পুরসভার প্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায় এবং হালিশহর পুরসভার প্রধান রাজু সাহানি। প্রণব চট্টোপাধ্যায় জামিনে মুক্ত হলেও রাজু সাহানি জেল হেফাজতেই রয়েছেন। শনিবার রাজু সাহানির শুনানি ছিল আসানসোল সিজিএম আদালতে। তাঁর নিঃশর্ত জামিন প্রার্থনা করেন তাঁর আইনজীবীরা। বিচারক অবশ্য জামিনের আবেদন নাকচ করে তাঁকে পুনরায় ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান। আগামী ২৯ অক্টোবর পুনরায় শুনানি তাঁর। সৌম্যরূপ ভৌমিকের সঙ্গে রাজু সাহানির অতীত-যোগাযোগের বহু প্রমাণ সিবিআই পেয়েছে। হংকং, থাইল্যান্ড এবং ব্যাংককে তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছিল। রাজু সাহানির পাশাপাশি সৌম্যরূপ ভৌমিকের নামেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মিলেছে বিদেশে। আশ্চর্যজনকভাবে দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেই ঠিকানা ছিল এক!
এছাড়াও মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে দেখা গিয়েছিল, অতীতে রাজু সাহানির বাড়িতে আশ্রয়ও নিয়েছিলেন সৌম্যরূপ। অর্থাৎ বর্ধমান সানমার্গ প্রতারণা মামলায় রাজু সাহানি জড়িত আছেন বলেই সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে। এখন সৌম্যরূপ ভৌমিককে খুঁজে বের করতে পারলেই এই ঘটনার তদন্ত শেষ হবে বলে মনে করছে সিবিআই। সেই কারণেই তারা লুকআউট নোটিসের জন্য আবেদন করেছিল আসানসোল সিজিএম আদালত। আসানসোল আদালত শেষ পর্যন্ত সেই লুকআউট নোটিস জারি করল শনিবার। এখন দেখার মূল অভিযুক্তকে সিবিআই গ্রেফতার করতে পারে কিনা।