-273ºc,
Friday, 2nd June, 2023 4:15 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজয়া দশমী’র দিন এখানে শ্মশান কালীর বিসর্জন হয়। এই প্রথা শতাব্দী প্রাচীন। শেকলে বেঁধে দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয়। এই অবাক করা রীতিটি, বীরভূমের দুবরাজপুর এলাকার দাস পাড়ার।
দেবী দুর্গার বিদায়ের দিন হয় কালী ঠাকুর নিরঞ্জন। একাদশীর দিনে শেকলে বেঁধে কালী বিগ্রহকে নামানো হয় ঠাকুর দালান থেকে। এখানেই শেষ নয়। মা কালীর বিসর্জনের প্রথাও চমকে দেওয়ার মত। ঝাঁটা সহ অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিয়ে দেবীর বিসর্জন দেন দাস পাড়ার বাসিন্দারা। শ্মশান কালীর এমন বিসর্জন দেখতে অন্য গ্রামে থেকে মানুষ এসে জমায় ভিড়।
দেবীর মূর্তি গড়া থেকে পুজোর যাবতীয় দায়িত্ব গ্রামের বৈষ্ণবদের। পুজোর কটা দিন উৎসবের আবহে মেতে ওঠেন তাঁরা। বৈষ্ণবদের হাতে পুজোর সব দায়িত্ব ছাড়লেও, কালী প্রতিমা নিরঞ্জন করে দাসেরাই। বিশালাকার দেবীর সেই মূর্তি মন্দিরের পেছনের পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয়।
শেকলে বেঁধে, ঝাঁটা দেখিয়ে মায়ের বিসর্জন- শতাব্দী প্রাচীন এই প্রথা সত্যি অবাক করার মত। তবে দিন বদলেছে। এখন এই রীতি পুরোপুরি উঠে গিয়েছে। দাস পরিবাররের সদস্য গুরুপদ দাস বলেন, আগের রীতি মেনে কালী মায়ের এখন আর বিসর্জন হয় না। তবে পুজোর উন্মাদনা কোনও অংশে কমেনি ।