নিজস্ব প্রতিনিধি: তাঁর দুরাবস্থা দেখে প্রতিপক্ষ তৃণমূল প্রার্থী তথা বীরভূমের(Birbhum Constituency) ৩ দফার সাংসদ শতাব্দী রায় প্রকাশ্যেই মিডিয়ার সামনে বলেছিলেন, ‘ভাবতে খারাপ লাগছে। একটা মানুষ ভোটে দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলেন। প্রচারও করছিলেন। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে এই রকম ঘটনা। লগ্নভ্রষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো বিষয়।’ কিন্তু যে যাই বলুক। তিনি হাল ছাড়তে নারাজ। তাই কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) সমস্যার সুরাহা না হওয়ায় তিনি এবার সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) দরজায় কড়া নেড়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট দরজাও খুলে দিয়েছে। রাজী হয়েছে তাঁর আবেদন শুনতে। নজরে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী(BJP Candidate) দেবাশিস ধর(Debashis Dhar)। তিনি এদিন অর্থাৎ সোমবার, তাঁর মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফায় বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু তার আগে সুপ্রিম কোর্ট দেবাশিসকে কোনও আশার আলো দেখাতে পারবে কিনা তা নিয়ে ঘোর সন্দেহ আছে খোদ পদ্মশিবিরেই।
বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে শতাব্দী রায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে দেবাশিস ধরের নাম ঘোষণা করে চমকে দিয়েছিল বিজেপি। লাগাতার ভোট প্রচারও করতে থাকেন তিনি। কিন্তু গত ২৫ এপ্রিল দেখা যায় বীরভূম জেলাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন দেবতনু ভট্টাচার্য নামে আরেক বিজেপি নেতা। তখনই জল্পনা শুরু হয়, তবে কি দেবাশিসের মনোনয়ন বাতিল হতে চলেছে। ঠিক তার পরদিনই প্রাক্তন এই আইপিএসের মনোনয়ন বাতিলের কথা সামনে আসে। কমিশনের তরফে জানানো হয়, ‘নো ডিউ সার্টিফিকেট’ না দেওয়ায় দেবাশিসের প্রার্থী পদ বাতিল করা হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেবশিস প্রথমে যান কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে। কিন্তু সিঙ্গেল বেঞ্চ তাঁর আবেদন গ্রহণই করেনি। পরে দেবাশিস আবেদন জানান ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু সেখানেও দ্রুত কিছু হয়নি। সেই সূত্রেই তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, ভোট যেহেতু সামনেই, তাই দ্রুত শুনানির আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়েছেন তাঁরা। মামলা শুনতে সম্মতও হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আইনজীবীকে মেল করতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি। স্বাভাবিকভাবেই আদালতের নির্দেশের দিকে তাকিয়ে সব মহল।